বিদেশের দুধ এদেশের বাজারে তৈরি হোক আমরা চাই না: অধ্যাপক ফারুক

  © টিডিসি ফটো

দুধ পরীক্ষাতে আমরা সচ্ছ । আমরা কোন কোম্পানির পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করিনি। দুধ শিল্পকে উন্নত করা এবং উন্নত মানের দুধ আমাদের এখানে যেন আসে, আমাদের বাচ্চারা উন্নত মানের দুধ যেন খেতে পারে এটাই আমাদের লক্ষ্য। মান সম্মত দুধ আমাদের লাগবে। এ জন্য যদি কোন টেকনিক্যাল সাহায্য প্রয়োজন হয় আমরা করব। আমরা চাইনা, বিদেশের কোন দুধ কম্পানি এ দেশে এসে বাজার তৈরি করুক।

আজ দুপুরে পাস্তুরিত দুধ গবেষনায় অধ্যাপক আ ব ম ফারুক কে হেনাস্তার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। এসময় তিনি দুধ গবেষনার বিভিন্ন বিষয় ও প্রস্তুরিত খাঁটি দুধ উৎপাদনের জন্যে নানা পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, পাস্তুরিত দুধের বিষয়টা আমাদের একার নয়। সবার সাথে সংশ্লিষ্ট । আমি মনে করি এর দ্রুত সমাধান করা দরকার। পাস্তুরিত দুধে এত জীবাণু থাকার কথা না। হয়তো জীবাণু রোধে সঠিক ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। আমাদের এর দ্রুত সমাধান করা উচিত।

পাস্তুরিত ও এন্টিবায়োটিক মুক্ত নিরাপদ দুধের পরামর্শে তিনি বলেন, মনিটরিংয়ের অভাবে পাস্তুরিত দুধে জীবাণু থাকছে। যদি ঠিকমত মনিটরিং হয় তাহলে পাস্তরিত দুধে এরকম জীবাণু আর পাওয়া যাবে না। পাস্তুরিত দুধ বয়েল না করে খাওয়ার সুবিধা নাই। যার কারনে এর বাজার টা কমে যাচ্ছে। গরুর দুধের মধ্যে কেন এন্টিবায়োটিক আসবে। কোম্পানিগুলো বলে আমাদের কিছু করার নাই। গরুকে এন্টিবায়োটিক দিলে দুধে এন্টিবায়োটিক আসবেই। আসলে এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষকে বিব্রত করছে। গরু যখন রোগে আক্রান্ত হয় তখন তাকে এন্টিবায়োটিক দিতে হয় কিন্তু এন্টিবায়োটিক দেওয়ার পর সেই দুধ ২১ দিন পর্যন্ত খাওয়া যাবে না। এ দুধ দিয়ে অন্য কাজ করা যেতে পারে কিন্তু খাওয়া যাবেনা। কিন্তু কোম্পানিগুলো তা করে না।

গরু অসুস্থ হলে হিউম্যান এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। গরুর শরীরে যদি হিউম্যান অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় তাহলে মানুষ অসুস্থ হলে এই এন্টিবায়োটিক মানুষকে দিলে মানুষের শরীরে কোন কাজ করবে না। আমি কোম্পানিগুলোর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনিও তো অসুস্থ হবেন। তাহলে এই এন্টিবায়োটিক গুলোতে মানুষের কেন ক্ষতি করছেন।

গরুকে এনিমেল ফিড খাওয়ানো যাবে না। কারণ এনিমেল ফিডের খাদ্যের মধ্যে ব্যবসায়ীরা এন্টিবায়োটিক মিশায়। বাংলাদেশের আইনে খাদ্যে এন্টিবায়োটিক মেশানো নিষেধ কিন্তু আইন ঠিকমতো প্রয়োগ না হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে এন্টিবায়োটিক মেশাচ্ছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার সরকারের প্রতি অনুরোধ যারা দুধে এন্টিবায়োটিক মিশায় তাদের যেন শাস্তি দেয়। এবং যারা গরুকে মানুষের এন্টিবায়োটিক দেয় তাদের জন্য সরকার ডাবল শাস্তি দেয়।

মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডক্টর আ ব ম ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড আ ক ম জামাল উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মামুন সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ