ডাকসু: শুরুতেই আচরণবিধি ভাঙলেন ছাত্রলীগ সভাপতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯, ০৮:৪৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি বা ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বিরুদ্ধে। বিধিতে না থাকলেও তার রঙিন ছবি সম্বলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী অন্যান্য প্রার্থী ও সংগঠন।
ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধির ৬ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী নিজের সাদাকালো ছবি ছাড়া লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে অন্য কারও ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না ৷ লিফলেট ছাপানো ও বিলি করা যাবে৷ আর ৬(খ) ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছপালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না৷
আরো দেখুন: ডাকসুর ভিপি-জিএস ছিলেন যারা
তবে এসব বিধি তোয়াক্কা না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী ছাত্রলীগের নেতা শোভনের রঙিন ছবি সংবলিত লিফলেট। যা শোভা পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ভিসি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী রঙিন পোস্টার কিংবা লিফলেট ব্যবহারের নিয়ম নেই। তাছাড়া আগামী ৩ মার্চ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে প্রচারণা চালানোও নিষিদ্ধ। কিন্তু ছাত্রলীগ সভাপতি ও ডাকসুতে সংগঠনটির ভিপি প্রার্থী এসবের তোয়াক্কা করছেন না।
প্রচারণায় ব্যবহৃত ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের রঙিন পোস্টারের ছবি ছাত্রদলের সংগ্রহে রয়েছে জানিয়ে অনিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা লিখিত অভিযোগ জানাবেন।
বিষয়টিতে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান বলেছেন, এভাবে প্রচারণা অবশ্যই আচরণবিধির লঙ্ঘন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আচরণবিধি পালন করা সবার জন্য প্রযোজ্য৷ অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে আচরণবিধির ১৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা অভিযোগ ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন৷ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজনবোধে স্বপ্রণোদিতভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন৷ আর ১৫(খ)ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার কিংবা রাষ্ট্র বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য কোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবেন৷