ছাত্রীর শ্লীলতাহানির দায়ে সালিশে শিক্ষকের দুই লাখ টাকা জরিমানা

শ্লীলতাহানি
শ্লীলতাহানি  © সংগৃহীত

এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুন) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম দানিছুর রহমান চৌধুরী। তিনি একই ইউনিয়নের ধুবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিশুটি পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

গত ২৪ মে শিক্ষক দানিছুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ছাত্রীর মা ওইদিনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

পরে তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু স্থানীয় একটি মহল বিষয়টি শেষ করার জন্য বারবার চেষ্টা করে আসছিল। শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবালের নেতৃত্বে পরিষদ সভাকক্ষেই সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

আরও পড়ুন: ২৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

ছাত্রীর চাচা জানান, তাদেরকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এখন ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের কাছে থাকবে। মামলা প্রত্যাহার বা শেষ হলে বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। মামলার বিষয়টি তারা (অভিযুক্তরা) শেষ করবে।

পাইকুরাটি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, সমাজের সৌন্দর্য রক্ষার্থে তাদের (ছাত্রী ও অভিযুক্ত) মিলিয়ে দিয়ে বিষয়টি সামাজিকভাবে শেষ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা যাইনি। ছাত্রীর ভবিষ্যৎ জীবনমানের কথা চিন্তা করে দোষীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই টাকা পোস্ট অফিসে ছাত্রীর নামে রাখা হবে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা সালিশে মীমাংসা বা শেষ করার কেনো সুযোগ নেই।


সর্বশেষ সংবাদ