নবীনগরে গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা গেছেন

এরশাদুল হক
এরশাদুল হক  © ফাইল ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এরশাদ মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

নিহত এরশাদ নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামের ওই ঘটনায় বাদল সরকার নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকও নিহত হন। নিহত বাদল নাটঘর গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবুল কাশেমের স্থলে তার ছেলে এরশাদুল হক এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হুমকি, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষিকার আবেদন

শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে চলছিল। সেই ওয়াজ মাহফিলে এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে যান। ওয়াজ মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সবার নিকট দোয়া কামনা করেন এরশাদুল। সেখান থেকে তারা ফেরার পথে মোটরসাইকেলে চালাচ্ছিল বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিল এরশাদ। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

আরও পড়ুন: এসএসসি’র ফল চলতি মাসে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাদলের পর এরশাদও ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আটক করতে চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ