ঢাবির বন্ধ হলে মাদকসেবনের সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

মেহেদী হাসান
মেহেদী হাসান  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে মাদকসেবন করার সময় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে হলের পশ্চিম প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ওই নেতার নাম মেহেদী হাসান (৩৫)। তিনি এসএম হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। শাহবাগ থানার এ.এস.আই মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা আমাদের খবর দেয় যে, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে কয়েকজন মাদকসেবন করছে। পরে আমরা গেলে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাদের নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসানকে আমাদের হাতে তুলে দেয়।’

হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, মেহেদী হাসান গত পাচ ছয় বছর ধরে ওই হলে মাদক সেবন করতো। সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শোভন-রব্বানীর সময় মাদক সরবারাহের অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু সে শোভনের বন্ধু হওয়ায় তাকে নিয়ে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলেও সে নিয়মিত হলের মধ্যে মাদক সেবন করত বলে জানা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘রাতে হল প্রশাসন থেকে আমরা খবর পাই যে, হলের মধ্যে কয়েকজন মাদকসেবন করছে। পরে আমরা পুলিশসহ সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পাই। তাদের মধ্যে আমাদের সাবেক ছাত্র মেহেদী হাসানকে পুলিশে দেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে এই ছাত্রলীগ নেতা নিয়মিত মাদক সেবন করতো বলে বিভিন্ন সময় হল প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতো। তাকে পূর্বে একাধিকবার সতর্ক করে দেওয়ার পরও সে সতর্ক না হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।’

এর আগেও মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগও ছিলো। যে কারণে তাকে হল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। এছাড়া রাজধানীর পিকক বারে মদ্যপ অবস্থায় মারামারি করে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলো। জানা গেছে, হলের টেনিস কোর্ট তার দখলে ছিলো। প্রতিরাতেই সেখানে মাদকের আড্ডা বসতো। মেহেদীর বাড়ি নওগাঁ জেলায়।


সর্বশেষ সংবাদ