পারস্পরিক সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়: পুলিশকে দিহান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:৩৬ PM , আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১, ০১:০৪ PM
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় নিহত মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী এবং ইফতেখার ফারদিন দিহানের ‘পারস্পরিক সম্মতিতেই’ শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। ওই কিশোরীর মৃত্যুর পর অভিযুক্ত দিহানকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হলে এ সময় সে পুলিশকে এ কথা জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান দিহানের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের সোবহানবাগের বাসা থেকে কলাবাগানে বন্ধু দিহানের বাসায় যায় নিহত কিশোরী। সেখানে যাওয়ার পর আমরা জেনেছি, কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বন্ধুর ভাষ্যমতে, এরপর তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করার আগেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ দিহান নামে ওই ছেলেটিকে আটক করি। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক মেলামেশা হয়। এরপর ওভার ব্লিডিং হয়, এ কারণে আনুশকা সেন্সলেস হয়ে যায়। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। তবে দৈহিক মেলামেশার বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা সাপেক্ষে প্রমাণের বিষয়। এর বাইরে অন্য কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে কিশোরীর প্রেমিক দাবিকারী ইফতেখার ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেন।
ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবুল হাসান জানান, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের ভূমিকা কী ছিল জানার চেষ্টা করেছি। যদি তারা জড়িত হয় তাহলে মামলায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নিরাপরাধ হলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।’