করোনা পরীক্ষায় রোগীর পাশাপাশি সরকার থেকেও টাকা নিয়েছেন সাহেদ

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য রোগীর পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতাল। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫৯টি মামলা রয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তারের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সাহেদ সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারের পর সাহেদকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে লক্ষাধিক জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাহেদ খুবই চালাকির সাথে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি এ কৌশল নিলেও তাকে অনুসরণ করেছে র‌্যাব। হাসপাতালে অভিযানের পর তিনি একাধিকবার ঢাকায় এসেছেন এবং ঢাকার বাইরে গিয়েছেন। কখনো তিনি নিজের গাড়ি ব্যবহার করেছেন আবার কখনো বাইরের গাড়ি ব্যবহার করেছেন। হেঁটেও বেড়িয়েছেন।

করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আলোচনায় আসা রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে বুধবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাহেদকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

এর পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাবের একটি দল সাহেদকে নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আবারও র‌্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়। অভিযানে সাহেদের বাসায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকা পাওয়া যায়।


সর্বশেষ সংবাদ