বিএনপি নেতা হত্যা: ছাত্রদল নেতাসহ মামলায় আসামি ১৩
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ AM
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য কাউছার মানিক বাদলসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার মধ্যে রোববার (১৬ নভেম্বর) আটক ইমন হোসেন (২১), আলমগীর হোসেন (৪০) ও হুমায়ুন কবির সেলিমকে (৫০) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাদীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সক্রিয় সদস্য এবং লিডার। মৃত্যুর আগে জহির নিজের হত্যার সম্ভাব্য ঘটনায় বিবাদীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ভিডিও করে স্ত্রী আইরিনের কাছে পাঠিয়েছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি একাধিকবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে বিবাদীরা তাকে খুন বা গুম করতে পারে। অভিযুক্তদের ভয়েই জহিরের প্রথম স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন কেউই থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছিলেন না। জহির ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন, এবং পশ্চিম লতিফপুর এলাকার মোস্তফার দোকানসংলগ্ন স্থানে তার ব্যক্তিগত কার্যালয় ছিল। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের পাঁচপাড়া সড়কে ফারুকের বাড়ির সামনে পাকা সড়কে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জহির চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মনছুর আহমেদের ছেলে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। জহিরের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী কাউছারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এলাকায় একটি খেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ে, যা হত্যাকাণ্ডের জেরে পরিণত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলার আসামি কাউছার হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক। অন্যদিকে নিহত জহিরের বিরুদ্ধেও মাদকসহ ৭টি মামলা এবং একাধিক জিডি রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মামলার বাদী আইরিন আক্তার বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। পুলিশই এ বিষয়ে জানাবে।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়জুল আজীম বলেন, নিহতের স্ত্রী মামলা করেছেন, এবং এরইমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।