নুসরাত হত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী মনি গ্রেফতার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪০ PM , আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪০ PM
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সহপাঠী কামরুন্নাহার মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সোমবার রাতে ফেনী থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। নুসরাত জাহান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মনি কেরোসিন তেল বহনকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেনী পিবিআইর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, নুসরাত হত্যা মামলার আসামী হিসেবে মনিকে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মনিকে গ্রেফতারে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপিকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই। এছাড়া মামলায় এজাহারের বাইরে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কেফায়েত উল্লাহ জনি, সাইদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, নূর হোসেন ও আলাউদ্দিন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম সাংবাদিকদেরকে জানান, নুসরাতের সঙ্গে পপিও আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ঘটনার দিন পপি নুসরাতের কাছে এসে খবর দেয় ছাদে তার বান্ধবী নিশাতকে মারধর করা হচ্ছে। পরে সেখানে নুসরাত গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার অনুসারীরা তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীরা পপিকেই শম্পা নামে ডেকেছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নুসরাত মৃত্যুর আগে দেয়া জবানবন্দিতে শম্পার নাম বলেছিলেন। যে চারজন তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, শম্পা ও মনি থাকার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দগ্ধ নুসরাত।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় গুরুতর আহত নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে মারা যান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে এবং আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই নোমান মামলা দায়ের করেন।