ছবি-ভিডিওতেই ব্যস্ত সবাই, শরীরের চামড়া উঠে যাওয়া বাচ্চাটিকে বাঁচাতে আসেনি কেউ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৮ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:১৪ AM
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
দুর্ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী এক নারীর বর্ণনায় জানা যায়, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার সন্তানকে খুঁজছিলাম। দশ থেকে পনেরো মিনিট খোঁজার পর আমার সন্তানকে খুঁজে পাই। কিন্তু এর মধ্যে ভয়ানক অনেক দৃশ্য দেখতে পাই। ওই অবস্থা দেখে আমি নিজেই ঠিক ছিলাম না। যখন দেখছি একটা বাচ্চা উলঙ্গ হয়ে দৌড়াচ্ছে। তার শরীরের সমস্ত চামড়া উঠে গেছে। তাকে কেউ ধরছে না। মানুষ তার ভিডিও করছে। কেউ কেউ ওই বাচ্চার ছবি উঠানোতে ব্যস্ত ছিল।
তিনি বলেন, ওই সময় কিছু বাচ্চাদের ভ্যানে করে বের করা হচ্ছিল। আর কিছু বাচ্চারা পোড়া অবস্থায় নিজে থেকে দৌড়ে আসছে। এ সময় একজন মায়ের কাছে মর্মান্তিক একটা ঘটনা। আজকে আমার বাচ্চাটাও ওই রকম হতে পারত। আল্লাহ আমার সন্তানকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। এমন ঘটনা যেন আর কোনো মায়ের জন্য না ঘটে।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।