স্ত্রীকে ১১ টুকরা করে হত্যা, পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার

নিহত স্ত্রী এবং ঘাতক স্বামী
নিহত স্ত্রী এবং ঘাতক স্বামী  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকার একটি ভবনের নবম তলায় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১১ টুকরো করে হত্যা করেন স্বামী মো. সুমন। গত ৯ জুলাই (বুধবার) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে ঘটে এই ঘটনা। হত্যার পর মরদেহের বিভিন্ন খণ্ডাংশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ঘাতক। 

নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম (৩০)। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে ঘাতক স্বামী মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-৭ এবং র‍্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমনের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার অন্তর্গত। পিতা মো. সুন্দর আলী।

আজ শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান।

এর আগে, নিহত ফাতেমার বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে মো. সুমনকে প্রধান আসামি করা হয়।

র‍্যাব জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরই মামলার তদন্ত শুরু করে তারা। নৃশংস এই হত্যার ঘটনা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরপর থেকেই র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় এবং একপর্যায়ে জানতে পারে, মূল আসামি মো. সুমন আত্মগোপনে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, পারিবারিক কলহ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ১০ বছর আগে সুমন ও ফাতেমার বিয়ে হয়। তাদের আট বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময় এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন সে। ঘটনার রাতে বাসায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনই ছিলেন। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কোনো ব্যক্তি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর সুমনকে চট্টগ্রামে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ