ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ‘গোষ্ঠী’র সংঘর্ষে নিহত সেই যুবক ছাত্রদলের নেতা

নিহত ছাত্রদল নেতা সোহরাব মিয়া
নিহত ছাত্রদল নেতা সোহরাব মিয়া   © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় বাজারে ‘উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠী’র সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

জানা গেছে, নিহত ওই যুবকের নাম সোহরাব মিয়া (২৮)। তিনি ওই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে এবং চাতলপাড় ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহসম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি সংঘর্ষে জড়ানো মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই ‘উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠী’র মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুপক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকালে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে। বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। আহতদের মধ্যে মোল্লা গোষ্ঠীর তিনজন নেয়ামুল মিয়া, বাবুল মিয়া ও সুরাফ মিয়াকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ মারামারি শুরু হয়। একজন নিহত হয়েছেন। লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। বন্ধ রয়েছে পুরো বাজার। মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাতলপাড় বাজারের প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকানঘর বন্ধ হয়ে গেছে।

উল্টা গোষ্ঠীর সমর্থক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের লোকদের সব সময় তারা মারধর করত। এর জেরে আজ এ ঘটনা ঘটে। বাজারে আমাদের ২০টি দোকান লুটপাট করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

মোল্লা গোষ্ঠীর পক্ষের মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অতর্কিত হামলা করে আলাউদ্দিনের লোকজন। এর মধ্যে সোহরাবকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। আরও দুজনের জীবন সঙ্কটাপন্ন।

এ বিষয়ে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। আজকের সংঘর্ষ সেই দ্বন্দ্বেরই পরিণতি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।

 


সর্বশেষ সংবাদ