অর্ধশত চোরাই মোবাইলসহ দুজন গ্রেপ্তার, ডিএমপির পরামর্শ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৩:২৫ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ১০:০৯ PM
রাজধানীর কদমতলীতে ৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ধশত চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চোরাই মোবাইল ফোন বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কদমতলী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১২টায় কদমতলী থানাধীন ঢাকা ম্যাচ শিল্প নগরী জামে মসজিদের পাশে দ্য গেজেট অ্যাম্পরিয়াম টেলিকম নামক দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আল আমিন (২৭) ও হাবিব সরকার (৩৫)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তারা এসব ফোনের কোনো বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেননি।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায়, কদমতলী থানাধীন ঢাকা ম্যাচ শিল্প নগরী জামে মসজিদের পাশে দ্য গেজেট অ্যাম্পরিয়াম টেলিকম নামীয় দোকানে কিছু ব্যক্তি চোরাই মোবাইল ফোনসেট বেচাকেনার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাগে ১২টায় ওই দোকানে অভিযান চালায় থানার একটি টিম। অভিযানে আল আমিন ও হাবিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন : হল খোলা রাখার দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫০টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তারা এসব ফোন সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বা ফোনের স্বপক্ষে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। উদ্ধারকৃত এসব ফোনের আনুমানিক মূল্য আট লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনসহ পলাতক একজনের বিরুদ্ধে ডিএমপির কদমতলী থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সংক্রান্তে থানা সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তার দুজন পলাতক এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব চোরাই মোবাইল ফোন কিনে বিক্রি করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সবাইকে সতর্ক করে ডিএমপি বলছে, চোরাই মোবাইল ফোন বেচাকেনা একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। কম দামে ফোন কেনার লোভে অজানা বা সন্দেহজনক বিক্রেতার কাছ থেকে ফোন না কিনে সব সময় স্বীকৃত দোকান বা বিক্রেতার কাছ থেকে বৈধ কাগজপত্র (ক্রয় রসিদ ও ওয়ারেন্টি কার্ড)-সহ ফোন কিনুন। চোরাই মোবাইল ফোনের কেনাবেচা বন্ধ করতে জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো অপরাধ সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।