মাদ্রাসা সুপারের কাছে চাঁদা নিয়ে ছাত্রদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

তিরাইল ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ইনসেটে আহতদের মধ্যে একজন
তিরাইল ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ইনসেটে আহতদের মধ্যে একজন  © টিডিসি ফটো

নাটোরে তিরাইল ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের কাছে চাঁদা দাবি করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২ গ্রুপের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরাইল মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলাকালে এই সংঘর্ষ হয়।  

জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলছিল। এ সময় ৫নং মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব আহমেদ শিমুল ১৫/২০ জনকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করে এবং সমাবেশে বাধা দেয়। এতে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় একই এলাকার সাবেক ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও তার অনুসারী ৪/৫ জন গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাসহ সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন। পরে প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

আরও পড়ুন: ছাত্রাবাসে গাঁজা, তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছাত্রদল নেতা শিহাব আহমেদ শিমুল বলেন, ‘এই মাদ্রাসার সম্পদ আমার দাদা দান করেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত মাদ্রাসা সুপারের কারণে গত ২৮ বছরে মাদ্রাসার প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এলাকার সচেতন মানুষ হিসেবে আমরা গিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। ব্যক্তিগতভাবে কোন চাঁদা চাওয়া হয়নি। একই সাথে সুপারের সহযোগীরা আমাদের ওপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এটা কোনো দলীয় সংঘর্ষ নয়। 

এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকার এই মাদ্রাসায় আজকে অভিভাবক সমাবেশ ছিল, সেখানে গিয়ে ছাত্রদল সভাপতি শিহাব মাদ্রাসা সুপারের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং সমাবেশ বন্ধ করে ভীতি ছড়ায়। আমরা কয়েকজন গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করতেই, শিহাবের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। 

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আবুল হাসান সাঈদী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবং বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিতে আমি  ২৮ বছর পর, গত বছর চাকরিতে যোগদান করেছি। কিন্তু ছাত্রদল সভাপতি শিহাব আহমেদ শিমুল আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে, আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাইলা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘মাদ্রাসা সুপার আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে যোগদান করেছেন, আজ অভিভাবক সমাবেশ ছিল। সেখানে ছাত্রদলের সভাপতিসহ কয়েকজন গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। বর্তমানে মাদ্রাসা ও এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ