অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের ২ কর্মী রিমান্ডে

জনি হাসান ও এস এম শফিক
জনি হাসান ও এস এম শফিক  © টিডিসি ফটো

চাঁদা না পেয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে রিমান্ডে নিয়েছে থানা পুলিশ। এর আগে. গত শুক্রবার রাতে কলেজের উত্তর ছাত্রাবাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জনি হাসান ও এস এম শফিক। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মেহেদী হাসান রাজধানীতে সিসিটিভি স্থাপনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। জনি ও শফিক কয়েক দিন ধরে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজ এলাকা থেকে তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির লাগানো সিসিটিভি খুলে নিয়ে যান। 

সিসিটিভি ফিরিয়ে আনতে এক কর্মচারীকে পাঠান মেহেদী হাসান। তাঁরা ওই কর্মচারীকে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। পরে মেহেদী হাসান ঢাকা কলেজের নর্থ হলে গেলে তাকেও জিম্মি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে মেহেদী ও তৌকিরকে হলে আটকে রেখে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। রাতে মারধর করে তৌকিরকে ছেড়ে দিলেও মেহেদীকে রাতভর মারধোর করা হয়।

আরো পড়ুন: বছরের ৬ মাসই বন্ধ থাকে ইবি, কাটছে না সেশনজট

অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে মেহেদীর অবস্থা খারাপ হলে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বের করে নিউ মার্কেটের গাউছিয়া মোড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এই সময় নিউ মার্কেট থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মেহেদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী বাদী হয়ে জনি হাসান, এস এম শফিকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী মো. গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্ণব, মো. রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার , মো. বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, মো. রায়হান, মাসুম, ফাহিম, শাহীন।

সূত্রে জানা গেছে, মামলা আসামিরা সবাই নর্থ হলের আবাসিক ছাত্র এবং সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগেও জনি ও শফিকের নেতৃত্বে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নিউ মার্কেট থানার ওসি শফিকুল গনি সাবু বলেন, বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানালে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ