নোবেল নেশা করে মঞ্চে উঠবেন, ভাবনাতেই ছিল না আয়োজকদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৩ PM , আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৩ PM
গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠবেন—এমন ভাবনা আয়োজক কমিটির কারোই ছিলো না বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, নোবেলের অনাকাঙ্খিত আচরণ দেখে আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) নানা আয়োজন ও উদ্দীপনায় দিনটি উদযাপন করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সারাদিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও সন্ধ্যায় এসে অতিথি গায়ক নোবেলের মাতলামিতে পণ্ড হয়ে যায় কলেজটির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। দুই দিনব্যাপী এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আমিনুল ইসলাম বলেন, রাত ৯টায় নোবেলের মঞ্চে ওঠার কথা থাকলেও নেশাগ্রস্ত থাকায় ১১টা ২০ মিনিটে গান গাইতে ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি দর্শকদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। এতে দর্শকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে পানির বোতল ও জুতা দিয়ে ঢিল ছোড়েন। পরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাঁকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: নোবেলের মাতলামিতে পণ্ড অনুষ্ঠান, দর্শকরা ছুড়লেন জুতা-ঢিল
কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে নোবেলে মাতলামির কিছু ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওর শুরুতে নোবেলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘কুড়িগ্রামে দ্বিতীয়বার আসা। এর আগে একবার এসেছিলাম। তখন তো কারো সাথে দেখা হয়নি। কুড়িগ্রাম দেখে গেছি। সুদূর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইন দেখে গেছিলাম। তোমাদের কারো সাথে দেখা হয়নি। এখন দেখা হলো। এখন দেখা হলো আলহামদুলিল্লাহ।’’
এরপর এদিক ওদিক তাকিয়ে নোবেল বলেন ‘ভাই আমার চমশাটা কই, চশমাটা’। এর তিনি তার কালো চশমাটা পরে নেন। এরপরেই মূলত শুরু হয় তার মাতলামি। তিনি শুরুতে মাইকের হ্যান্ডেল স্ট্যান্ড থেকে খুলে নিজের হাতে নিয়ে নেন। এরপর স্টেজের উপরে খালি স্ট্যান্ডকে সজোরে আঘাত করতে থাকেন। আঘাতের একপর্যায়ে ওই ওই স্ট্যান্ড ভেঙে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ভাঙা স্ট্যান্ড নিয়ে হাতে মাইকের হ্যান্ডেল নিয়ে গান গাইতে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত একজন এসে ওই স্ট্যান্ড নিয়ে যান। নোবেলের এমন কান্ড দেখে হতভাগ উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারাও। তারা তার মাতলামিতে হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে তার দিকে ঢিল ছুড়ে মারেন।
ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, এত বড় মাপের একজন শিল্পী এভাবে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মঞ্চে উঠবেন আমরা আয়োজকেরা ভাবতে পারিনি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমরা অনুষ্ঠানে আগত দর্শক ও সুধীজনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।