নিজের ছন্দ কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ব্যাখ্যা দিলেন লিটন
- ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
- প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ AM
এশিয়া কাপের আদর্শ প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে এনেছিল বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে লিটন দাসের দল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ছিল হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য, তবে বেরসিক বৃষ্টি আর ফ্লাডলাইটের সমস্যায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
দুই দফা বৃষ্টিতে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি স্বাগতিক দল। অবশ্য, আক্ষেপের কিছু নেই। কারণ, একাদশে ৫টি পরিবর্তন আনলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন শীর্ষ ব্যাটাররা। আর অধিনায়ক লিটনের ব্যাটও রীতিমতো জাদু দেখিয়েছে। সাকিব আল হাসানকে টপকে তিনিই এখন দেশের সবচেয়ে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির মালিক। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি স্পর্শ করেছেন টাইগার দলপতি। খেলেন ৪৬ বলে ৭৩ রানের মারকাটারি এক ইনিংস।
সিরিজসেরা হয়ে খোলাসা করলেন কেন, তার রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ-ও স্মরণ করালেন, অধিনায়ক রান না করলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে দল।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিটন বললেন, ‘আমি উপভোগ করি (অধিনায়কত্ব), আর উপভোগ করি বলেই এই দায়িত্ব নিয়েছি। অবশ্যই আমাদের টানা বেশ কয়েকটি সিরিজে ভালো ক্রিকেট হয়েছে। আমি নিজেও পারফর্ম করছি, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন নেতা যখন পারফর্ম করতে পারেন না, তখন দল মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়ে।‘
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে লিটনের মন্তব্য, ‘সে দিক থেকে বলব, আমাদের দলের সবাই ভালো পারফর্ম করছে, আর আমারও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল—আমিও যেন সেই অবদান রাখতে পারি, যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি। সে দিক থেকে আমি ভীষণ আনন্দিত যে আমি দলের একজন সদস্য হিসেবে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারছি।‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম তুলনামূলকভাবে বেশ ব্যাটিং-বান্ধব ভেন্যু। আউটফিল্ডও এখানে খুব ভালো। অন্যদিকে মিরপুরে সবাইকেই কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়—শুধু আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা নয়, বিদেশি খেলোয়াড়রাও এখানে খেলতে এসে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সব ব্যাটসম্যানের জন্য সিলেট একটি ভালো বিকল্প, দারুণ একটি মাঠ। এখানে খেলা সত্যিই উপভোগ্য। আপনারা যারা এখানে থাকেন, তারাও পরিবেশ দেখে নিশ্চয়ই আনন্দ পান।‘
উল্লেখ্য, বেরসিক বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় আগ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন লিটন। এছাড়া জাকের আলী ১৩ বলে ২০ এবং নুরুল হাসান ১১ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।