ওয়ানডেতেও চলছে না বাবর–রিজওয়ানের ‘ঠেলাগাড়ি’

মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম
মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম  © সংগৃহীত

রীতিমত সুদিন হাতড়ে বেড়াচ্ছেন বাবর আজম। প্রায় দুই বছরেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেনি তার ব্যাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কেবল তিন বল টিকতে পেরেছিলেন। ২০তম ডাকের পর তাকে নিয়ে হাসাহাসিও কম হয়নি। প্রায় ৭২ ইনিংস সেঞ্চুরিহীন বাবর সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতেও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। আর এই সমালোচনায় বাবরের সঙ্গী পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।

সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ডাক খেয়েছেন রিজওয়ান। আগের ম্যাচে মোটের ওপর ১৬! তবে প্রসঙ্গটা কেবল এখানে নয়, ওয়ানডেতে তাদের স্ট্রাইক রেট নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পরিসংখ্যানও তাতে মাত্রা যোগ করছে। উইজডেন জানিয়েছে, গেল ১৯ মাসে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর ব্যাটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট তাদের।

এই সময়ে ওয়ানডেতে বাবরের স্ট্রাইক রেট ৭৭ দশমিক ৬২, অন্যদিকে রিজওয়ানের ৭৪ দশমিক ৯৪। অবশ্য তাদের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট এর চেয়ে ভালো। ওয়ানডেতে বাবর ৮৭ দশমিক ৬৩ এবং রিজওয়ান ৮৫ দশমিক ৮৮ স্ট্রাইট রেটে ব্যাটিং করেন।

বোঝাই যাচ্ছে, ছন্দে নেই তারা। তবে গত বছরে যে কম ম্যাচ খেলেছেন, এমন কিছুই না। এ সময়ে ১৭ ম্যাচে ৫ ফিফটিতে ৫৬২ রান পেয়েছেন বাবর। অন্যদিকে ২০ ম্যাচে তিন ফিফটি আর সেঞ্চুরিতে ৬২৫ রান করেছেন রিজওয়ান।

সহজ করে বললে, অনেকদিন ধরেই চাপে আছেন বাবর-রিজওয়ান। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে জায়গা হারিয়েছেন। যদিও টি-টোয়েন্টিতে দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় বাবর-রিজওয়ানই শীর্ষে। কেবল স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন থাকায় সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হন। এতে ফের আলোচনায় তাদের সেই ‘ঠেলাগাড়ি’র মতো স্ট্রাইক রেট।

অবশ্য ফর্মহীন থাকলেও ওয়ানডেতে এখনও ৫৪ দশমিক ২৩ গড় বাবরের। সেঞ্চুরি ১৯টি। অন্যদিকে রিজওয়ানের গড় ৪০-এর ওপরে। মিডল-অর্ডারে যেটিকে খারাপ বলার সুযোগ নেই। তবুও পাকিস্তান দলের ওয়ানডে ব্যর্থতার দায় প্রায়শই তাদের কাঁধে পড়ছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!