তামিম-সাকিবদের ভালো অ্যাথলেট বানাতে চান কোচ

বাংলাদেশ দল
বাংলাদেশ দল  © সংগৃহীত

যেকোনো খেলায় সাফল্যে সবচেয়ে বড় শর্ত শারীরিক ফিটনেস। দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এদিকে আসন্ন নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপকে সামনে রেখে এখন লম্বা সময়ের একটি ফিটনেস ক্যাম্পে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা। এই ক্যাম্পেই ম্যাচের আগে শরীর ও মানসিক প্রস্তুতি দুই-ই ঝালিয়ে নিচ্ছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে দিন দুয়েক আগে একটি ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ক্রিকেটারদের শারীরিক সক্ষমতা ও প্রস্তুতি যাচাই করা হয়েছে।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি বললেন, ‘এখানে পাশ-ফেইল বড় বিষয় নয়। কার কোথায় শক্তি আর কোথায় দুর্বলতা, ফিটনেস কেমন তা বুঝতে পারাই মূল লক্ষ্য। জাতীয় স্টেডিয়ামেও কিছু টেস্ট হয়েছে। স্প্লিন্ট, কন্ট্রোল... নাহিদ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। গ্রুপ হিসেবে আরও ভালো হওয়ার চেষ্টা করছি। এখানেও কিছু স্ট্রেন্থ টেস্টিংয়ের পরামর্শ দিয়েছি। ছেলেদের অনেক উন্নতি হয়েছে।’

কেলি মনে করেন, ‘ছেলেরা এখন অনেক টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলে। তাদের শুধু ক্রিকেটে উন্নতি করলেই হবে না, অ্যাথলেট হিসেবেও উন্নতির জায়গা আছে। ছেলেরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে। ঐ কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো বড় সময় ধরে ফিজিক্যাল ওয়ার্ক করতে না পারা।’

তিনি বলেন, ‘আপনি যে স্পোর্টসেই খেলুন না কেন, আপনাকে ভালো অ্যাথলেট হতে হবে। আপনাকে ফিট হতে হবে, পাওয়ারফুল হতে হবে। শীর্ষ দুই ক্রিকেট ন্যাশন দেখুন, তাদের সবাই ফিট এবং পাওয়ারফুল অ্যাথলেট। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ সপ্তাহ ধরে কাজ করে প্রি-সিজনে। আমাদের সময় কম। এই সময়েই আমাদের চেষ্টা করতে হবে।’

অবশ্য খেলোয়াড়দের আরও অ্যাথলেটিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে কেলির। তার মতে, ‘অ্যাথলেটদের নেচার দিন শেষে একরকম। আমরা অ্যাথলেটিক ক্রিকেট প্লেয়ার চাই। যা তাদের ভালো খেলার স্বাধীনতা দেবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংও আরও ভালো হবে। মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে। ফাস্ট বোলাররা দীর্ঘ স্পেল করতে হবে। এটা শুধু ক্রিকেট দিয়ে কথা নয়, সব খেলাতেই অ্যাথলেটিক ফিটনেস প্রয়োজন।’


সর্বশেষ সংবাদ