ঢাকায় এসিসির সভা বর্জন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের, শঙ্কায় এশিয়া কাপ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৫ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩০ PM
আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এ সভায় ভারতসহ কয়েকটি সদস্য দেশ অংশ নেবে না—এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও ভেন্যু নিয়ে অসন্তোষের বিষয়টি উঠে এসেছে।
সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ঢাকায় এই বৈঠক অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বিসিসিআই। তবে বিসিসিআইয়ের সেই অনুরোধে সাড়া দেননি মহসিন নাকভ—এমন অভিযোগ ভারতীয় বোর্ডের। যে কারণে এসিসির এজিএম বয়কট করতে পারে বিসিসিআই।
এদিকে ইন্ডিয়া টুডে আরও জানিয়েছে, ভারতের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশ এ সভা বর্জন করেছে। যাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং ওমান রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটিকে এক সূত্র জানিয়েছে, এসিসি ও চেয়ারম্যান নাকভিকে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। ভেন্যু পাল্টানোর বিষয়ে তারা ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধও করেছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে বোর্ডগুলোর এমন অবস্থানে শঙ্কার মুখে পড়েছে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ। এসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বার্ষিক সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দেশগুলোর উপস্থিতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ফলে ভারতসহ একাধিক বোর্ড সভায় অংশ না নিলে, এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি জরুরি নির্দেশনা বোর্ডের
৬ জাতির এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। কিন্তু এখনো ভেন্যু কিংবা এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করেনি এসিসি। তবে অঘোষিতভাবে শোনা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ নিয়ে ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এসিসির বার্ষিক সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই যদি সভা বয়কটের সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তবে এবারের এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েও শঙ্কা তৈরি হতে পারে। এর আগে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান, কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলে মাঠে গড়ায়। সে সময় রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছিলেন। চলতি বছরও একই চিত্র দেখা গেছে। পাকিস্তানে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আবারও হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের ম্যাচসহ ফাইনালও দুবাইয়ে হয়েছে।