২ যুগ পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিব্রতকর দিন

বাংলাদেশ দল
বাংলাদেশ দল  © সংগৃহীত

সবশেষ ২০০১ সালে এমন বাজে দিন দেখেছিল দেশের ক্রিকেট। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সেদিন ১০৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে আর কখনোই এমন বাজে অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়নি লাল-সবুজেরা। এবার প্রায় ২৪ বছর পর সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ নিলো টাইগাররা। সিলেট টেস্টে খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট স্বাগতিকরা।

রোববার (২০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে সাফল‍্যের দেখা পেয়েছে সফরকারীরা। ভিক্তর নিয়াউচির চতুর্থ বলে পরাস্ত হন সাদমান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে একটু আগেভাগে স্ট্রেট ড্রাইভ করে ফেলায় টাইমিং হয়নি। তবে গালিতে কোন ভুল করেননি ব্রায়ান বেনেট। ২৩ বলে এক চারে ১২ রানে সাদমানের বিদায়ে ভেঙেছে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

এক ওভার পর ফের উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজেরা। এবারও সেই নিয়াউচি। তার গুড লেংথের বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাহমুদুল। ১৪ রানে ফেরেন তিনি।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত এবং মুমিনুল। ০ রানে মুমিনুলকে জীবন দেন জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভো। সিলেটে অসম বাউন্সে কিছুটা চালিয়ে খেলেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থির সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন মুমিনুল। সময় নিয়ে ক্রিজে জমে উঠেন তারা। শেষমেশ ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৪ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনেও সাবধানী শুরু করেছিলেন শান্ত-মুমিনুল।  সেট হয়ে ফিফটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তবে সেটা আর হলো হয়ে উঠেনি। দলীয় সেঞ্চুরি ও নিজের ফিফটি ছোঁয়ার আগেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজে তার। মুজারাবানির শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৪০ রানে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক।

এরপর আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তার শর্ট বলে সহজ ক‍্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব‍্যাটার মুশফিকুর রহিম। এই স্পিনারকে গায়ের জোরে লেগে খেলেছিলেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী ওপরে উঠেনি বল। ফলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন ব্রায়ান বেনেট।

তবে শূন্য রানে 'জীবন' উপহার পাওয়া মুমিনুল একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০০ বলে ছুঁয়ে ফেলেন পঞ্চাশ। কিন্তু ফিফটি ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। মাসাকাদজার ফুল লেংথ বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১০৫ বলে ৫৬ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন মিরাজ। ৪ বলে ১ রান ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল-ও আশার আলো হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।

টপ-অর্ডারের ব্যর্থতা আর মিডল-অর্ডারে ছন্দছাড়া ব্যাটিংয়ের দিনে হাসান মাহমুদকে নিয়ে একাই লড়াই জিইয়ে রেখেছিলেন জাকের আলী। তবে সেই লড়াই-ও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩০ বলে ১৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসান মাহমুদ। এরপর জাকেরও (৫৯ বলে ২৮) কয়েক মিনিট ব্যবধানেই ফেরেন। মাধেভেরের বলে বেন কারানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। পরের বলে নাহিদ রানা ফিরলে ১৯১ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (জয় ১৪, সাদমান ১২, মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, মুশফিক ৪, জাকের ২৮, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, খালেদ ৪*, নাহিদ ০; এনগারাভা ১৪-২-৩৭-০, মুজারাবানি ১৯-৪-৫০-৩, নিয়াউচি ১৫-২-৭৪-২, মাধেভেরে ৩-২-২-২, মাসাকাদজা ১০-৪-২১-৩)


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence