এমসি কলেজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ সিদ্ধান্ত গৃহীত
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ সিদ্ধান্ত গৃহীত  © টিডিসি

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে ৯টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সংরক্ষণ ও শিক্ষার্থী উপদেষ্টা কমিটির আহবায়ক এবং ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আব্দুল হামিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এর আগে, গত রবিবার সকালে কলেজের কলাভবনের ১০১ নম্বর কক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রফেসর মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আকমল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মো. গিয়াস উদ্দিন, কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সংরক্ষণ ও শিক্ষার্থী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর তৌফিক এজদানী ও প্রফেসর মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। এসময় কলেজের ৫ টি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও ১০ টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভার সিদ্ধান্তগুলো হলো- ‘মুরারিচাঁদ কলেজের কোন ছাত্র সংগঠন কলেজ ক্যাম্পাসে বা হোস্টেলে কোন প্রকার মিছিল-মিটিং করবেনা। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক কোন সভা-সমাবেশ বা মিছিল করার প্রয়োজন হলে অথবা কলেজের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অথবা কলেজের কোন ক্লাব এর মিটিং, মিছিল বা এরকম কোন প্রোগ্রাম করার প্রয়োজন হলে পূর্বেই কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। তবে এ সব প্রোগ্রাম যথাসম্ভব কম করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

‘কলেজের কোনো সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সংগঠন কোন প্রোগ্রামকে সামনে রেখে কলেজ ক্যাম্পাসে রিহার্সেল বা মহড়া করতে চাইলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে; প্রত্যেক সংগঠন মিছিল এর সময় অথবা প্রোগ্রামের বক্তব্যের সময় অপর কোন সংগঠনের সমালোচনার ক্ষেত্রে গঠনমূলক এবং শালিন ভাষা ব্যবহার করবে।’

আরও পড়ুন: ‘সরকারি গাড়ি ভাঙলে সমস্যা কী’ বলেই দাঁড়িয়ে থাকা বাস ভাঙচুর শুরু শিক্ষার্থীদের

‘মুরারিচাঁদ কলেজের ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে কোন সংগঠন ব্যানার, ফেস্টুন পোস্টার বা প্লাকার্ড স্থাপন করবে না এবং দেয়াল লিখন করবে না। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কোন প্রোগ্রামের পূর্বে বা পরে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত ব্যানার, ফেস্টুন পোস্টার বা প্লাকার্ড স্থাপন করা যাবে। বর্তমানে যদি কলেজ ক্যাম্পাসে বা হোস্টেলে কোন সংগঠনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বা প্লাকার্ড থাকে তা আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নিজ নিজ দায়িত্বে অপসারণ করতে হবে এবং দেয়াল লিখন থাকলে তা মুছে ফেলতে হবে। অন্যথায় কলেজ কর্তৃপক্ষ তা অপসারণের ব্যবস্থা করবে।’

‘কলেজের সার্বিক নিরাপত্তা বজায়ের লক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ অচিরেই সমগ্র কলেজ ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনবেন এবং কলেজের নিরাপত্তা প্রহরীর আধুনিকায়নের মাধ্যমে কলেজ ক্যাম্পাসে ও হোস্টেলে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন; কলেজ কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব কলেজে একটি ক্যান্টিন স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; কর্তৃপক্ষ কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের মাধ্যমে নিরাপদ ছাত্রীবান্ধব পরিবেশ তৈরী করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এছাড়া, ‘কলেজের মসজিদ নির্মাণ/সংস্কারের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; পরবর্তী যে কোন মতবিনিময় সভায় প্রত্যেক সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ দুইজন প্রতিনিধি (সভাপতি/আহবায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক বা তাদের প্রতিনিধি) অংশগ্রহণ করবেন।’


সর্বশেষ সংবাদ