কাঁটাতারে বেড়েছিল দূরত্ব, ভাই-বোনের শেষ দেখা সীমান্তে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭ PM
বাংলাদেশের বাসিন্দা মো. তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে বোনের মাঝে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সীমান্তের কাঁটাতার। এবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন বোন সেলিনা বেগম (৭০)। শেষ বিদায়ে দেখা যাবে কি বোনের মুখ? সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কাছে তোফাজ্জল আবেদন করেছিলেন বোনকে এক ঝলক দেখতে। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে সীমান্তের শূন্যরেখায় মৃত বোনকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
আবেগঘন এই ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-মালদহ সীমান্তে। সকাল ১০.৪০ মিনিটের দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধীনস্ত আজমতপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ১৮২/২-এস সীমান্ত পিলারের কাছে শূন্য লাইনে। এ সময় মৃতের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
তোফাজ্জল হোসেন উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার বোন সেলিনা বেগম (৭০) ভারতীয় নাগরিক। থাকতেন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার গোলাপগঞ্জ থানার চকমাহিলপুরে। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জানা গেছে, বোনের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তোফাজ্জল ও তার স্বজনরা মরদেহ দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন করেন। বিজিবি বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় গ্রহণ করে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে লাশ দেখার আয়োজন করা হয়। স্বজনকে শেষ বিদায় জানাতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এপারের বাসিন্দারা। বিজিবির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তারা।
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজিবি অত্যন্ত মানবিক একটি বাহিনী। এ ধরনের মানবিক কার্যক্রমকে আমরা মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।