ছাত্রলীগের হাতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার শিকার সেই বিশ্বজিৎ দাসের স্মরণে হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভ
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ PM
২০১২ সালে ছাত্রলীগের হাতে নৃশংসভাবে নিহত বিশ্বজিৎ দাসের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট-শাখারিবাজার চার রাস্তার মোড় এলাকায় ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানে তার স্মরণে একটি মনুমেন্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিনের উদ্যোগে চত্বরের নামকরণ ও মনুমেন্ট স্থাপন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, সিটি করপোরেশনের নির্দেশে সকালে মনুমেন্ট নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই প্রাথমিক কাঠামো স্থাপনা সম্পন্ন হবে।
অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিশ্বজিৎকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা সারা দেশের মানুষের বিবেককে জাগ্রত করেছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আত্মত্যাগের অন্যতম স্মারক নাম বিশ্বজিৎ দাস। এই আত্মত্যাগকে দিগন্ত রূপ দেয়ার জন্য সেদিন সমাবেশে আমার মনে হিয়েছিল যে, এটাই সেই জায়গা যেখানে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এ জন্য আমি এই জায়গাটাকে বিশ্বজিৎ চত্বর হিসেবে ঘোষণা করি।’
আরও পড়ুন: মানহীন ৬ সরকারি মেডিকেল নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী সপ্তাহে
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক আবহ এখান থেকেই তৈরি হবে। বিশ্বজিৎ চত্ত্বরটি রাজু ভাস্কর্যের আদলে একটি স্থাপনা। এটাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় সাংস্কৃতিক এ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থাপনা নির্মাণের জন্যে আমরা সিটি করপোরেশন বরাবর আবেদন দিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত এর নকশা অনুমোদন হবে এবং সিটি করপোরেশন তা বাস্তবায়ন করবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রবিবার সকালে পুরান ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে শাখারিবাজার মোড় এলাকায় শিবির সন্দেহে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ২৫ বছর বয়সী দর্জি বিশ্বজিৎ দাস। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে শত শত মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই তাকে নির্বিচারে কিল-ঘুষি, লাথি, লোহার রড ও চাপাতির আঘাতে হত্যা করা হয়। আহত অবস্থায় বিশ্বজিৎকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।