টঙ্গীতে ব্রিজ নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধ ও মানববন্ধন
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৮ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৭ AM
গাজীপুরের টঙ্গীবাজারে তুরাগ নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণ এবং খানাখন্দে ভরা সড়কের সংস্কারের দাবিতে সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলা এ কর্মসূচি সকাল ১১টা ২০ মিনিটে নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করা হয়।
অবরোধ চলাকালে টঙ্গীবাজার উড়ালসেতুর ওপর যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। তবে অবরোধ প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের পাশাপাশি টঙ্গীবাজারের ব্যবসায়ী ও হাজারো সাধারণ মানুষ অংশ নেন। প্রধান অতিথি বিএনপি কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, “টঙ্গীবাসীর জীবন ও ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নতুন সেতু নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে নারী প্রার্থীদের সুরক্ষায় ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠনের দাবি
কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘প্রতিদিন চলাচলের দুর্ভোগে ভুগছেন এলাকাবাসী। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির হোসেন আলি বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত সমাধান করতে হবে। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে বিলম্ব করে, আমরা কঠোর কর্মসূচিতে নামব।’
উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপি সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, পূর্ব থানা বিএনপি সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, টঙ্গী পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির নজরুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান কিরণ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের খানাখন্দ দ্রুত সংস্কার না হলে জনগণ পুনরায় কঠোর আন্দোলনে নামবে।’ কোঅপারেটিভ ব্যাংক, নতুন বাজার শাখার ম্যানেজার মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবন প্রতিদিন ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক সংস্কার ও নতুন সেতু নির্মাণ ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
সভাপতিত্ব করেন টঙ্গীবাজার ব্যবসায়ী কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার। এছাড়া উপস্থিত ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ দ্রুত সড়ক সংস্কার ও সেতু নির্মাণ না হলে পুনরায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।