কেশবপুরে জলাবদ্ধতা: বাধ্য হয়ে কৃষকরা কেটে ফেলছেন অপরিপক্ক পাট

কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে অপরিপক্ক পাট
কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে অপরিপক্ক পাট  © টিডিসি

যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে অপরিপক্ক পাট। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও নদনদীর পানি প্রবেশ করে পাটক্ষেত ডুবে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে কৃষকেরা পাট গাছ আগেভাগেই কেটে ফেলছেন।

জানা গেছে, বীজ বপনের ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পাটে পরিপক্কতা আসে। তবে কেশবপুরে জলাবদ্ধতায় পাটগাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পানির ভেতর থেকে আগেভাগেই পাট কাটতে হচ্ছে। পাট পরিপক্ক না হওয়ায় কৃষকেরা যেমন রয়েছেন দুশ্চিন্তায়, তেমনি পানির ভেতর থেকে পাট কাটতে গিয়ে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। পানির মধ্যে নেমে কৃষকেরা ক্ষেতের অপরিপক্ক পাট কাটছেন।

কেশবপুরের মূলগ্রামের পাটচাষি নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, তার ২৬ শতক জমিতে লাগানো পাট টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার পানি দীর্ঘদিন জমে থাকায় অপরিপক্ক পাটগাছ নষ্ট হতে শুরু করেছে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তা কেটে ফেলতে হচ্ছে। ভাদ্র মাসের শেষদিকে এই পাটে পরিপক্কতা আসত।

ভালুকঘর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, পানির ভেতর একজন শ্রমিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক শতকের বেশি পাট কাটতে পারছেন না। স্বাভাবিক মজুরির চেয়ে তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। অপরিপক্ক পাটে আঁশ ভালো হয় না, ফলে বাজারে দামও কম পাওয়া যাবে।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও নদনদীর পানি প্রবেশ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকের ২৩৮ হেক্টর পাটক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজ বপনের ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পাট পরিপক্ক হয়। ভাদ্র মাসের শেষদিকে কাটলে কৃষকেরা পরিপক্ক পাট পেতেন। কিন্তু জলাবদ্ধতায় পাটগাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই আগেভাগেই তা কেটে ফেলছেন। এতে কৃষকের যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে এবং তারা উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না।


সর্বশেষ সংবাদ