মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীদের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় ভাঙচুর ও লুটপাট

আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর
আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর  © সংগৃহীত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া খাতুনের মৃত্যুর পর স্থানীয় লোকজন ফের আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মাগুরা পৌরসভার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রধান কাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, গাছপালাও কেটে ফেলা হয়েছে। কয়েকটি দেয়াল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগের দিন বিকেল থেকেই ওই বাড়িতে লুটপাট শুরু হয়। প্রথমে জানালা-দরজা ভেঙে ফেলার পর বাড়ির জিনিসপত্র লুট করেন কিছু ব্যক্তি। সন্ধ্যার পর বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা গভীর রাত পর্যন্ত জ্বলতে থাকে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছিয়া খাতুন মারা যায়। হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ নিশ্চিত করেন, শিশুটির সকালবেলায় দু’বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। প্রথমবার সিপিআর দেওয়ার পর হৃৎস্পন্দন ফিরে এলেও দুপুর ১২টায় আবারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। মাগুরার এই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে।

গত ৫ মার্চ আছিয়া খাতুন মাগুরায় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ৮ মার্চ তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে শেষ পর্যন্ত সে মৃত্যুবরণ করে।


সর্বশেষ সংবাদ