ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ঢাবি শিক্ষকের বই ‘ইরানের পথে প্রান্তরে’
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ০১:১০ PM , আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২১, ০১:১০ PM
বাঙালীর প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদের ‘ইরানের পথে প্রান্তরে’ বইটির দ্বিতীয় মুদ্রণ বেড়িয়েছি। ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের বইটি আনন্দ দেবে বলে জানিয়েছেন বইটির লেখক।
জানা যায়, আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ইরান ও তার গৌরব-গাঁথা ইতিহাসের প্রতি রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। দেশটির ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, উৎসব-পার্বণ, খাদ্যাভ্যাস, স্থাপত্যশৈলী, ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-প্রথা, তাদের জাতি-গোষ্ঠী, বর্ণ-গোত্র-উপজাতি এক কথায় নৃতাত্ত্বিক পরিচয় সম্পর্কে জানার এই কৌতূহল একেবারেই স্বভাবতাড়িত। সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক পরিচিতির বাইরেও বৈশ্বিক পরিসরে ইরানের অবস্থান কোথায়, সেই প্রশ্নও কৌতূহলী মানুষের মনে জেগে ওঠা অবান্তর নয়।
পাঠকদের এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বইটি লিখছেন অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ। এই বইটির মাধ্যমে একজন পাঠক ইরানের গৌরব–গাঁথা ইতিহাস, ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি তথা নৃতাত্ত্বিক পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারবে।
বইটি সম্পর্কে লেখক অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরানোলজি বিষয়টি পড়াতে পড়াতে আমার অন্বেষী মনও হারিয়ে যেত ইতিহাসের অধীত পাতায়! সাহিত্যের ছাত্র হয়েও ইতিহাসের পাতার বাইরে ভূগোলের বাস্তব রেখাঙ্কনে বিচরণের ইচ্ছে যে জাগত না, তা হলফ করে বলি কী করে। অজানা এক আকর্ষণবোধ আমাকে টেনে নিয়ে যেত ইরানের সেই ভূগোলে। বই পড়ে মুখস্থ বিদ্যায় মন ভরতো না!
অবশেষে বিদেশি ভিজিটিং অধ্যাপকের প্রচেষ্টায় ৪ বছরের জন্য প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইরানে পিএইচডি বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে গেলাম। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানে যাওয়ার পর থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ইরানের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি। ১৬,৪৮,১৯৫ বর্গ কিমি আয়তনের বর্তমান ইরানের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ২২টিতে ভ্রমণ করেছি। গিয়েছি বিয়েসহ বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে, ইরানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বন্ধুবান্ধবদের বাড়িঘরে, এমনকি বিশ্ববিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের সমাধিতেও। দেখেশুনে প্রামাণ্য করে তুলেছি ইতিহাসের পাঠ। নিয়েছি যা কিছু নেবার, শিখেছি ছিল যা শেখার।
তিনি আরো বলেন, আমার বিশাল প্রত্যাশার ক্ষুদ্র ফসল ইরানের পথে-প্রান্তরে বইটি। এটি পাঠকদের ইরান সম্পর্কে কিছুটা হলেও তৃষ্ণা মেটাবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে বইটির ১ম সংস্করণের সব কপি পাঠকদের ভালোবাসায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় প্রকাশকের অনুরোধে ২য় মুদ্রণ প্রকাশিত হলো। এই সংস্করণে পুনর্বিন্যাস করার পাশাপাশি সংযোজন করা হয়েছে নতুন অনেক কিছু।
বইটির দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশ করেছে কাকলী প্রকাশনী। মেলায় ১৪ নম্বর স্টলে (কাকলী প্রকাশনী) বইটি পাওয়া যাবে।