নিম্নমানের বই ছাপিয়ে ১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুই ভাইয়ের প্রেস কর্ণফুলী-অগ্রণী
- একই পরিবারের ৪ প্রেসের কাছে জিম্মি এনসিটিবি
- ভয়ে মুখ খোলেন না ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
- জড়িত ত্রিমুখী সিন্ডিকেট
- রায়হান উদ্দিন
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ AM
২০২৬ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩০ কোটির অধিক বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করবে সরকার। এসব পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ করছে শতাধিক বেসরকারি প্রেস (মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান); যার মধ্যে কয়েকটি প্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কর্ণফুলী আর্ট প্রেস ও অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস নামে দুটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান এবারও এসব পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ করছে। তারা পাঠ্যবই ছাপাতে সাড়ে ৮ হাজার টন কাগজ ব্যবহার করছে। এরমধ্যে সাড়ে ৫ হাজার টন কাগজ ইতোমধ্যে ব্যবহার করে পাঠ্যবই ছাপিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, পাঠ্যবই ছাপাতে প্রেস দুটি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নিম্নমানের (৩৮৫০ টন) রিসাইকেল কাগজ ব্যবহার করেছে। সূত্রের তথ্য, ভালো মানের একটন কাগজের দাম বাজারে ১ লাখ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু প্রেস দুটি যে নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজ ব্যবহার করছে; সেটার দাম বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা অর্থ্যাৎ টনপ্রতি পার্থক্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এতে সরকার থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে প্রেস দুটি।
স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি এনসিটিবির। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রেস দুটি থেকে ছাপানো ৫০ লাখ ফর্মা এবং নিম্নমানের রিসাইকেলকৃত কাগজে বই ছাপানোর কারণে সম্প্রতি বাইন্ডিং, কাটিং ও সরবরাহ স্থগিত করেছে তদারক প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি। শুধু তাই নয়, ছাপা হওয়া নিম্নমানের এসব বই ও ফর্মা ধ্বংস করার নির্দেশও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরই পাঠ্যবই ছাপাতে সরকারের ব্যয় হয় ১৫শ’ কোটি থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আর এসব বই ছাপানোর কাজ করে শতাধিক বেসরকারি প্রেস। জানা গেছে, এই পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ তদরকি করছে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি। আর পাঠ্যবইয়ের কাগজের মান যাচাই করছে (থার্ড পার্টি) বিডি কন্ট্রোল এজেন্সি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রেসের বই ছাপানোর তদরকি করছে এই তিনটি প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শনে গিয়ে তাদের কর্মকর্তারা চারটি প্রেসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে। একই পরিবারের মালিকানাধীন নোয়াখালীতে অবস্থিত কর্ণফুলী আর্ট প্রেস ও অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস ছাড়াও রয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত আনোয়ার প্রিন্টার্স এন্ড পাবলিকেশন ও কচুয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন। পরে এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলেও তারা শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মসহ নানা অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে পড়ার পরেও বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিয়ে ফের নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে এসব প্রেস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এই চার প্রেসের কাছে জিম্মি এনসিটিবি; যার ফলে বদলির ভয়ে মুখ খোলেন না অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। অন্যদিকে প্রেস পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তাদের বড় অফার দিয়ে থাকে অভিযুক্ত প্রেসগুলোর মালিকরা। তাতে রাজি না হলে হুমকিও দিয়ে থাকেন তারা। এই অনিয়মে জড়িত ত্রিমুখী সিন্ডিকেট, যার মধ্যে রয়েছে এনসিটিবির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন অফিসে কর্মরত আরও একটি গ্রুপ। তারা এসব অনিয়ম প্রকাশ করতে দেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রেস মালিকরা মোটা অংকের টাকা দিয়ে এসব ম্যানেজ করে বলেন জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মসহ নানা অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে পড়ার পরেও বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিয়ে ফের নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে এসব প্রেস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
অনিয়ম ঢাকতে প্রেস পরিদর্শনে যাওয়া ইন্সপেকশন, এনসিটিবির কর্মকর্তাদের আর্থিক প্রলোভন, হুমকি, রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে চাপ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ৪ প্রেসের বিরুদ্ধে। প্রেস পরিদর্শনের পর এনসিটিবিতে রিপোর্ট জমা পড়ার পরও অদৃশ্য কারণে নেওয়া হচ্ছে না পদক্ষেপ। এনসিটিবি-মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশে প্রেস পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তাদের বদলির হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অনিয়মে জড়িত ৪ প্রেসের মালিক একই পরিবারের
জানা গেছে, অগ্রণী প্রেসের মালিক কাউসার-উজ-জামান রুবেল ও কর্ণফুলী প্রেসের মালিক হাসান-উজ-জামান রবিন আপন দুই ভাই। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ওই সিন্ডিকেটের সঙ্গে বেশ সখ্যও ছিলেন তারা। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরও তারা এনসিটিবির কাজ পাচ্ছে।মুঠোফোনে অগ্রণী প্রেসের মালিক কাউসার-উজ-জামান রুবেলের কাছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব। এ সময় তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে লোক পাঠানোর কথা বলে ফোন কেটে দেন।
জানা গেছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট বইয়ের ১৩.৫৫ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ পেয়েছে একই পরিবারের মালিকানাধীন নোয়াখালীতে অবস্থিত কর্ণফুলী আর্ট প্রেস ও অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস এবং কেরানীগঞ্জে অবস্থিত আনোয়ার প্রিন্টার্স এন্ড পাবলিকেশন ও কচুয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন। এর মধ্যে প্রথম দুটির মালিক আপন দুই ভাই এবং অন্য দুটির একজন তাদের বোন জামাই ও ভাগ্নে।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট বইয়ের ১৩.৫৫ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ পেয়েছে একই পরিবারের মালিকানাধীন নোয়াখালীতে অবস্থিত কর্ণফুলী আর্ট প্রেস ও অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস এবং কেরানীগঞ্জে অবস্থিত আনোয়ার প্রিন্টার্স এন্ড পাবলিকেশন ও কচুয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন। এর মধ্যে প্রথম দুটির মালিক আপন দুই ভাই এবং অন্য দুটির একজন তাদের বোন জামাই ও ভাগ্নে।
ব্যপক অনিয়মের রিপোর্ট পরিদর্শন টিমের
এনসিসিটির তথ্যমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯টি প্রাথমিকের এবং মাধ্যমিকের ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টির মধ্যে এই চার প্রেস মোট ৪ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২২৩টি বই ছাপার কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে অগ্রণী প্রেস ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১টি; কর্ণফুলী প্রেস ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৩১টি; কচুয়া প্রেস ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৫৩টি এবং আনোয়ার প্রেস ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৬৮টি বইয়ের কাজ পেয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, চার প্রেস পরিদর্শন শেষে নিম্নমানের রিসাইসকেলকৃত কাগজ ব্যবহার প্রমাণ পাওয়ার পর রিপোর্ট দেয়ার প্রেসকে নোটিশ দেয় এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ। পরে কাগজের মান নিশ্চিতসহ সার্বিক বিষয়ের মান বজায় রাখতে মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ১৫/২০ দিন আগে ওই প্রেস দুটি পরিদর্শন করে। মন্ত্রণালয়ের টিম যাওয়ার সপ্তাহ পার না হতেই এনসিটিবির উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম নিম্নমানের কাগজ ছাপার খবর শোনার পর কর্ণফুলী ও অগ্রণী প্রেস পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে তারা এর সত্যতাও পায়।
এনসিটিবি ও অন্য আরেকটি সূত্রের তথ্য, নিয়মিত পরিদর্শন, নোটিশ ও নজরদারি রাখার পরও নিম্নমানের মুদ্রণ অব্যাহত থাকায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এনসিটিবির আরেকটা মনিটরিং টিম সেখানে যায়। ওই মনিটরিং টিম ২৫০শ’ টন রিসাইকেল কাগজের শনাক্ত করে। এরপরই ৫০ লাখ ফর্মা ও নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজের বই ছাপানোর কারণে কর্ণফুলী ও অগ্রণী প্রেসের বাইন্ডিং, কাটিং, সরবরাহ স্থগিত করা হয়। পরে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবিকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানানো হয়। নিম্নমানের কারণে সরবরাহের অপেক্ষায় থাকা আরও সোয়া ৪ লাখ বই সরবরাহ স্থগিত রাখা হয়।
এদিকে ওই ৫০ লাখ ফর্মা ও নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজের বই ধ্বংস করতে প্রেস দুটিকে নোটিশ দেওয়া হলেও তা করা হয়নি। পাশাপাশি নোটিশকেও তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে এনসিটিবির কর্মকর্তা ও ইন্সপেকশন কর্মকর্তাদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নোয়াখালীতে অবস্থিত প্রেস থেকে মনিটরিং টিম ঢাকায় ফিরে তাদের ব্যাপারে এনসিটিবিতে একটি রিপোর্ট পেশ করে। এ রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিম্নমানের অভিযোগে বাইন্ডিংয়ের অপেক্ষায় থাকা বই, ফর্মা নষ্ট করতে বলা হয়। সরবরাহের অপেক্ষায় থাকা স্যাম্পলগুলোর কাগজের মান পরীক্ষা শেষে এনসিটিবি ব্যবস্থা নেবে বলেও জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে কর্ণফুলী ও অগ্রণী প্রেস গভীর রাতে প্রায় ১৬ লাখ বই পিডিআই’র (প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন) প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এনসিটিবি এ তথ্য গোপন সূত্রে জানতে পেরে ওইদিন রাতেই পিডিআই স্থগিত রাখে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে কর্ণফুলী ও অগ্রণী প্রেস গভীর রাতে প্রায় ১৬ লাখ বই পিডিআই’র (প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন) প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এনসিটিবি এ তথ্য গোপন সূত্রে জানতে পেরে ওইদিন রাতেই পিডিআই স্থগিত রাখে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এনসিটিবির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে প্রেসগুলোতে যায়। প্রতিনিধি দল সেখানে গেলে তাদের সামনে প্রায় ৬ লাখ বই দেখানো হয় এবং সে বইগুলোতেও কাগজের মান মোটামুটি হলেও ছাপার মান নিম্ন ছিল বলে জানায় এনসিটিবিকে। এদিকে কর্ণফুলী প্রেসের একটি লটের ৫০ হাজার বই পিডিআইয়ের জন্য প্রতিনিধি দলের সামনে উপস্থাপন করলে লট গুণে পাওয়া যায় ৩০ হাজার। সর্বশেষ দুই প্রেসের যে ১৬ লাখ বই পিডিআই স্থগিত রাখা হয়েছিল, তা সাড়ে ৭ লাখ বই পিডিআই হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও কর্ণফুলী ও অগ্রণী প্রেস যে পরিমাণ বই ছাপার কাজ পেয়েছে তাতে তাদের মোট কাগজ প্রয়োজন হয় সাড়ে ৮ হাজার টন। ইতোমধ্যে প্রেস দুটি সাড়ে ৫ হাজার টন কাগজ ব্যবহার করেছে, এখনো প্রায় ৩ হাজার টন কাগজের ব্যবহার হয়নি। প্রেস দুটি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নিম্নমানের রিসাইকল কাগজ ব্যবহার করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ভালো মানের একটন কাগজের দাম ১ লাখ ১৫/২০ হাজার টাকা। কিন্তু প্রেসদুটি যে নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজ ব্যবহার করছে, সেটা ৬৫/৭০ হাজার টাকা টন। এতে ১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রেস দুটি।
যা বললেন সংশ্লিষ্টরা
তথ্যমতে, এনসিটিবির বিতরণ শাখা থেকে বিভিন্ন প্রেসেকে অগ্রিম তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিতরণ শাখার নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মতিউর রহমান খান পাঠান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। প্রতিষ্ঠানের বিধির বাহিরে আমি কোনো কিছু করি না।
অগ্রণী প্রেসের মালিক কাউসার-উজ-জামান রুবেলের কাছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব। এ সময় তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে লোক পাঠানোর কথা বলে ফোন কেটে দেন। এরপর বারবার মন্তব্য জানতে চাইলেও মন্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।
বিডি কন্ট্রোল এজেন্সির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) রাফি মোহাম্মদ বিপ্লব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসেকে বলেন, ‘কর্ণফুলী ও অগ্রণী প্রেস দুটিতে যে অনিয়ম পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে এনসিটিবিকে অফিসিয়াললি জানানো হয়েছে, সে ব্যাপারে এনসিটিবি পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়াও কর্ণফুলিতে নিম্নমানের রিসাইকেল কাগজের যে ৫০ লাখ ফর্মা পাওয়া, তা ধ্বংস করা হচ্ছে।’
এনসিটিবির সচিব প্রফেসর মো. সাহতাব উদ্দিন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রেসগুলোর অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে আমি জানার চেষ্টা করব। তাছাড়া বিডি কন্ট্রোল এনসিটিবিকে কর্ণফুলী ও অগ্রণীর অনিয়মের বিষয়ে জানানো হয়েছে বললে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়েও জানি না’