বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবে নেই জনবল, ঝুঁকিতে কৃষিখাত

ল্যাব বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা
ল্যাব বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা  © সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগারে ছয় মাস ধরে নেই কোনো জনবল। ফলে বন্ধ রয়েছে কৃষিজ পণ্যের গুণগত মান ও ভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রম। এতে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য ও কৃষিবীজের মান নির্ধারণ সম্ভব না হওয়ায় দেশের কৃষিখাত পড়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।

জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। যার মধ্যে শতাধিক ট্রাকে থাকে বিভিন্ন ধরনের কৃষিজ পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য। অথচ এসব পণ্যের গুণমান যাচাইয়ের একমাত্র কেন্দ্রটিই অচল অবস্থায় রয়েছে। 

স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষি নির্ভর এই দেশে আমদানিকৃত বীজ ও খাদ্যপণ্যের মান যাচাইয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত ল্যাব সচল করে দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

আরও পড়ুন: ‘আমরা গরিব মানুষ’—এই কথার আড়ালে চলছে রেণু বাণিজ্য

ল্যাবটিতে আগে একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান কাজ করতেন। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছয় মাস আগে তাকে বদলি করা হলে ল্যাব হয়ে পড়ে জনশূন্য। বর্তমানে এনালগ পদ্ধতিতে সন্দেহভাজন বীজ সামান্য পরীক্ষা করা হলেও তা সময়সাপেক্ষ ও অপ্রতুল। 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ বলেন, ভারত থেকে গাছের চারা, ফল ও বিভিন্ন ধরনের বীজ আসছে। কিন্তু ল্যাব বন্ধ থাকায় ভাইরাসযুক্ত বীজ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, যা দেশের কৃষি খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি।

আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ল্যাব বন্ধ থাকায় পণ্যের মান পরীক্ষা করাতে ব্যবসায়ীদের বাইরে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ বাড়ছে। দ্রুত ল্যাবে জনবল নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম সচল করা না হলে, কৃষি ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবে একজন টেকনিশিয়ান কর্মরত ছিলেন। তাকে অন্যত্র বদলি করায় জনবল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ