বাইক কিনবে বলে জালিয়াতির ৪ লাখ টাকা নেন জাবির সেই ভর্তিচ্ছু

আটক সামি
আটক সামি   © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘বি’ ইউনিটে সাক্ষাৎকার দিতে এসে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সৈয়দ আব্দুস সামি নামে এক ভর্তিচ্ছুকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

সোমবার (২২ আগস্ট) সাক্ষাৎকার দিতে এসে আটক হন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন সেই ভর্তিচ্ছু। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিয়মিত মামলা দেওয়ার মাধ্যমে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে সেই ভর্তিচ্ছুর বাবার বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন জানান, ‘তার ছেলে তার কাছে বায়না ধরে যে আমি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আমার ৪ লাখ টাকা লাগবে। এটা সে লুকিয়ে প্রথমে এটা সে বলেনি, প্রথমে সে বলেছে আমি যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবো সিউর; আমার একটা বাইক কিনতে হবে। আমাকে একটা বাইক কিনে দাও।’ 

তিনি আরও জানান, ‘তার বাবা তার চাহিদা অনুযায়ী তাকে চার লাখ টাকা তুলে দেয়। সেই চার লাখ টাকা নিয়ে চুক্তি মোতাবেক সাড়ে তিন টাকা তাদেরকে দিয়ে দেয়। দিয়ে দেওয়ার পর আজকে যখন ভাইবা দিতে এসেছেন, তখন তার বাবার কাছে জানলাম ‘হ্যাঁ তার ভর্তি পরীক্ষা জালিয়াতির টাকা নিয়েছে কিনা সেটা আমি বলতে পারি না, আমার কাছে মোটরবাইক কেনার জন্য চার লাখ টাকা নিয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কর্মকর্তা জানান, ‘ছেলের সঙ্গে তার বাবার বক্তব্য যখন মিলে যায়, তখন তাকে আমরা আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজূ করি। মামলা দিয়ে আমরা পুলিশকে অবগত করি এবং আমরা তাকে চালান দিয়ে দেবো।’  

আরও পড়ুন : যেভাবে দেখবেন গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ফল

এদিকে আটক জাবি ভর্তিচ্ছু সামি জানান, ‘স্থানীয় পরিচিত এক ছেলের মাধ্যমে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সঙ্গে প্রক্সির বিষয়ে কথা হয়। শাকিল পরবর্তীতে বুয়েট পড়ুয়া মাহফুজ নামে এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে প্রক্সি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। শাকিলের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষার আগে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ভাইবা শেষে বাকি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়া হবে বলে ওই টাকা শাকিল জমা নেন।’ 

সামি আরও জানান, ‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে পরীক্ষার আসন পড়ে। আমি পরীক্ষা দেইনি। তবে মাহফুজ নিজে পরীক্ষা দিয়েছে কি-না সেটা নিশ্চিত জানি না। মেধাতালিকায় আমার ১১৬তম স্থান আসে। মাহফুজ ভাইয়ের অধীনে আরও তিন-চারজন এরকম চুক্তি করেছে বলে জানি। এই পুরো বিষয়ে সব ধরনের ঝুঁকি শাকিল বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’


সর্বশেষ সংবাদ