ভাড়ায় খাটা ঢাবি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, চুক্তি কততে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে ধরা পড়া ঢাবির দুই শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে ধরা পড়া ঢাবির দুই শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবির। তার কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কার্ড উদ্ধার করা হয়। সেখানে ২৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। তবে এটিই প্রথম নয়। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়েও এক ছাত্রী আটক হন।

এই দুজনের অ্যাকাউন্টেই পাওয়া গেছে লাখ লাখ টাকা। জানা গেছে, আকতারুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও ছবির সঙ্গে চেহারার মিল না থাকায় আবিরের বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি এক লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

মানবিক  বিভাগে সেজান মাহফুজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসেন আবির। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সেজান মাহফুজের রোল ৩০৯৯৭৬। তিনি সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন।

শনিবার (১৩ আগস্ট)  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনে পরীক্ষা শেষে সন্দেহজনকভাবে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করেন সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা ও আসাদুজ্জামান  রিপন।

আটকের পরে জিজ্ঞাসাবাদে আবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজনের প্রক্সি দিয়েছেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে আমরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।

আরো পড়ুন: গুচ্ছের পরীক্ষায় ভাড়ায় খাটা ঢাবির আবিরের বিরুদ্ধে মামলা

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে আটক হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এরমধ্যে একজন ছাত্রী। তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। 

আগে থেকে গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকায় ধরা পড়ে যান ওই ছাত্রী। পরীক্ষা চলাকালে তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

এ সময় তার মোবাইল চেক করে ব্যাংক একাউন্টে তিন লাখ ৩২ হাজার ৫৫১ টাকা পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও প্রক্সি দিয়েছিলেন ঢাবির ওই ছাত্রী। তিনি তিনজন প্রার্থীকে পাস করিয়েছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence