পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইমের দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইমের দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইমের দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছসহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

অবস্থান কর্মসূচীতে রওশন আরা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আজ এখানে উচ্চশিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য দাঁড়িয়েছি। শুধু ২০২০ ব্যাচের জন্যে না, আমরা যাতে পরবর্তী সবার জন্য এই অধিকার নিশ্চিত করতে পারি সে লক্ষ্যেই দাঁড়িয়েছি।

কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি শুনছেন না অভিযোগ করে এ শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গেলে তারা বলেছেন আমরা আবেগের ভিত্তিতে এই আন্দোলন করছি। অথচ আমরা শুধু পরীক্ষার সুযোগ চাচ্ছি, যেটা আবেগ নয় বরং অধিকার।

রওশন আরা আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীবান্ধব। শিক্ষামন্ত্রীও আমাদের পক্ষে মত দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা অনেকবার গিয়েছি, কোনো কাজ হয়নি।

সমাবেশে এইচএসসি ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সংগ্রাম বলেন, পৃথিবীর বড় বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু দ্বিতীয়বার নয়, যতবার খুশি ততবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। কারণ তারা জাতিকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার গুরুত্ব বোঝেন। আর আমাদের দেশে শিক্ষিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের লেভেল গণনা করা হয়। নিম্নবিত্তের কেউ উচ্চশিক্ষিত হোক সেটা আমাদের প্রশাসন চায় না।

আরও পড়ুন: সেকেন্ড টাইম বহালের দাবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি

শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর জন্য তারা তিনটি পৃথক স্মারকলিপি প্রস্তুত করেন। এসময় তারা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, সেকেন্ড টাইম কেন নয়’, ‘উই ওয়ান্ট সেকেন্ড টাইম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

স্মারকলিপিতে লেখা হয়, আমাদের ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের করোনা মহামারী এবং বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার সম্মুখীন হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অনেক শিক্ষার্থীকে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানাবিধ সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে।

‘‘এই জটিল পরিস্থিতি সম্মুখীন হয়ে অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবারের অর্থনৈতিক হাল ধরতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও এক বৎসরের অধিক সময়কে তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। এছাড়াও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এই মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ায় নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্জন করতে অক্ষম হয়।’’

এতে আরও বলা হয়েছে, অনেকে রয়েছে যারা কোভিড-১৯ এর সাথে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারলেও দীর্ঘ সময় যাবৎ কোভিড-১৯ আক্রান্ত থাকায় নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি নিতেও সক্ষম হতে পারেনি।

স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহালের দাবি জানানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ