গুচ্ছে সুখবর পেতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  © টিডিসি ফটো

গত বছর প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়ে পরীক্ষা নেয়। গুচ্ছ পদ্ধতির নানা অসংগতির কারণে ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, অসংগতিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সমাধানের জন্য কাজ করছেন তারা। এসব বিষয় নিয়ে খুব শীঘ্রই সভায় বসছেন উপাচার্যরা। 

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়নি। যেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বর্ষের পুরোদমে ক্লাস চলছে। এছাড়া ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাও সন্নিকটে। এদিকে শুরু থেকেই শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ১০/১১ বারও মেধাতালিকা দিয়ে তাদের আসনগুলো পূরণ করতে পারে নি। এর জন্য সংশ্লিষ্টরা ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় না থাকাকে দায়ী করেছেন।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, গতবারই এটা আমার প্রস্তাব ছিলো। ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু একসাথে নিয়েছি তাহলে ভর্তিটাও কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী সংকটে পড়তো না। শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এবার আশা করি এ বিষয়ে একটা ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আরও পড়ুন- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সংকট যেখানে 

গুচ্ছ কমিটির কাছে শিক্ষার্থীদের দাবি ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল, দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেয়া, ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ও বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট রাখা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, এইচএসসি উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেয়া সম্ভব নয়। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংকট, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে কাট মার্ক নির্ধারণ করা হবে।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আসন বিবেচনায় ন্যূনতম একটি কাট মার্ক থাকা উচিত। কারণ এতো শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার মতো ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেই।

সূত্র জানায়, এ বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় সর্বোচ্চ দুই লাখ শিক্ষার্থী।

সিলেকশন পদ্ধতিতে থাকলেও দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ নিয়ে সুখবর পেতে যাচ্ছেন ভর্তিচ্ছুরা। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ থাকা উচিত।

আরও পড়ুন- গুচ্ছে আস্থা হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, শিক্ষার্থীদের আরেকবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার পক্ষে আমি। তবে বয়স বিবেচনায় সেটি তিনবার বা চারবার করার পক্ষে নই। একই মত দিয়েছেন অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেনও। তারা বলেন, বেশিরভাগ উপাচার্যই মনে করেন এই সুযোগ থাকা উচিত। আশা করি শিক্ষার্থীরা সেই সুযোগ পাবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শীঘ্রই গুচ্ছ কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অবশ্যই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ