ঢাবির ভর্তি আবেদনে ৬ বিষয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য বিশেষ সতর্কতা

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে সোমবার (৪ নভেম্বর)। এ জন্য ভর্তিচ্ছুদের ছয়টি বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, এবার মোট ৬ হাজার ১০ আসনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠিত চারটি ইউনিট কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান; বিজ্ঞান; ব্যবসায় শিক্ষা এবং চারুকলায় অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। এসব ইউনিটে ভর্তিচ্ছুদের জন্য সতর্কতা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 

১. ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন ফি জমা দেয়ার পর অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে টাকা জমার রসিদ ডাউনলোড করলে শিক্ষার্থীর আবেদন সম্পন্ন হয়। টাকা জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থী রসিদ ডাউনলোড না করে থাকলে তার আবেদনটি অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়ে যায়। তাই শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধের পর রসিদ ডাউনলোড করে আবেদনটি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

২. ফি জমা দেয়ার পরে (অনলাইনে ৫-১০ মিনিট পরে এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া হলে ৪৮ ঘণ্টা পরে) কোনো কারণে ফি জমার রসিদ ডাউনলোড করা না গেলে নিমোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-

ক. অনলাইনে ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনার প্রদত্ত ইমেইলটি খুলুন ও সেখানে ‘সূর্য-পে’ বা ‘এসএসএল কমার্স’ কর্তৃক প্রেরিত একটি ইমেইল দেখুন। ইমেইলে সংযুক্ত পিডিএফটি ডাউনলোড করুন এবং নিচের তথ্যগুলো দিয়ে আপনার টাকা পরিশোধের দাবি করুন।

অ) ‘সূর্য-পে’ এর মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে থাকলে পিডিএফ ফাইলটির ইনভয়েস নং ও মার্চেন্ট অর্ডার আইডি দিয়ে দাবি করুন।

আ) ‘এসএসএল কমার্স’ এর মাধ্যমে টাকা জমা করে থাকলে এমটিআই দিয়ে দাবি করুন।

খ) ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে থাকলে আপনি যে ব্যাংকের যেই শাখায় টাকা জমা করেছেন সেখানে আবার গিয়ে সেই ব্যাংকের হেড অফিসের আইটি ডিপার্টমেন্ট-এ যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে বলুন।

৩. শিক্ষার্থীকে (বা তার পিতা/মাতা) নিজে আবেদন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। কোনো কারণে নিজে করতে অপারগ হলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অনলাইনে আবেদনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অতীতে অনেক শিক্ষার্থী নিজে উপস্থিত না থাকায় যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, তার অবহেলায় আবেদন সম্পন্ন হয়নি।

৪. শিক্ষার্থীর নিজ (অথবা পিতা/মাতার) মোবাইল নম্বর হতে এসএমএস করে অস্থায়ী পাসওয়ার্ডটি সংগ্রহ করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফিরতি এসএমএসে প্রাপ্ত পাসওয়ার্ডটি সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যের মোবাইল নম্বর হতে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করায় শিক্ষার্থীকে অনাকাঙ্ক্ষিত  বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় থেকে উক্ত পাসওয়ার্ডটি আর প্রয়োজন হবে না।

৫. আবেদনের সময়ের সঙ্গে কোনও একটি অঞ্চলের আসন সংখ্যার কোন সম্পর্ক নেই। প্রথম দিন ও শেষ দিনের আবেদনকারীর পরীক্ষার আসন পাশাপাশি হতে পারে। আবার, একই সময়ে আবেদন করা দুই শিক্ষার্থীর আসন দু'টি ভিন্ন স্থানে হতে পারে। তাই তাড়াহুড়ো করে আবেদন না করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তবে শেষ দিনে আবেদনের জন্য ফেলে না রাখা উত্তম।

আরো পড়ুন: এবার ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন ৬০১০, কোন ইউনিটে কত?

৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমে কোনো সামাজিক মাধ্যম (যেমন ফেসবুক/মেটা, টুইটার/এক্স, লিঙ্কডইন ইত্যাদি) ব্যবহার করে তথ্য প্রচার করে না। সরাসরি কোন এসএমএসের মাধ্যমে কোন তথ্যও কাউকে প্রদান করে না।

https://admissions.eis.du.ac.bd- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছাড়া অনলাইনে/ব্যাংকিং চ্যানেল বা বিকাশ/নগদ/রকেট ইত্যাদি মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমর মাধ্যমে কোন টাকা জমা নেয় না। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে সজাগ থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ