জাস্টিন ট্রুডো–কেটি পেরির প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোড়ন

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি
কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের আলোচনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে একটি মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দুজনেই প্রকাশ্যে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর আমন্ত্রণে আয়োজিত ওই বিশেষ মধ্যাহ্নভোজে একসঙ্গে আগমন করেন ট্রুডো ও কেটি পেরি। সেখানে প্রথমবারের মতো তাঁরা গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের সম্পর্ককে ‘আনুষ্ঠানিক’ বলে উল্লেখ করেন।

ঘোষণার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। দীর্ঘদিন ধরে চলা তাঁদের ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন এবার বাস্তব রূপ পাওয়ায় ভক্ত ও অনুসারীদের মধ্যেও দেখা গেছে নানান প্রতিক্রিয়া—অভিনন্দন, বিস্ময়, আবার কিছুটা কৌতূহলও।

জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’

পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’

জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’

অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ