মধ্যরাতে ‘অশোভন আচরণ’, কারণ দর্শাতে হবে রাবি ছাত্রীকে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩১ AM , আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩১ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মধ্যরাতে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের সঙ্গে ‘অসদাচরণে’র অভিযোগে ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রক্টর দফতর থেকে এক চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় উল্টো ‘হেনস্তা’ করাসহ ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকির অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, কয়েকজন সহকারী প্রক্টর রাতে তাদের দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় এক ছাত্রী ‘অশোভন’ আচরণ করেন তাদের সঙ্গে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী প্রক্টররা লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বক্তব্য জানতে শোকজ করা হয়েছে।
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনের আমবাগানে ওই ছাত্রী সাত ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে বসেছিলেন। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তর্ক জুড়ে দেন ও অসদাচরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানব না, নিজের মতো চলব। যা পারেন তাই করেন।’
ছাত্রীর এ বক্তব্যকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এটি নিয়মের লঙ্ঘন ও দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রী বলেন, ‘সেদিন কিছু জুনিয়র ও কয়েকজন বন্ধু মকলা ভবনে যাওয়ার রাস্তার মুখে সিমেন্টের বেঞ্চে বসেছিলাম। সেখানে সবাই মিলে গান করছিলাম। এ সময় সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিচয়পত্র দেখতে চান। তখন পরিচয়পত্র দেখাই। পরে তারা উঠে যেতে বলেন। তখন গান করে উঠে যাব বলে জানাই। তবে তারা তখনই উঠে যেতে বলেন।’
আরো পড়ুন: প্রক্সি দিয়ে চান্স, ভাইভায় উতরে গেলেও ভর্তি হতে এসে ধরা ১০ম মিনহাজুল
তিনি বলেন, ‘তখন বলি, আমরা তো খারাপ কিছু করছি না। এটা শোনার পর তারা রেগে যায়। রাত ৮টা কি গান করার সময়। এসব বলে ‘ধমকানো’ শুরু করে এবং পরিচয়পত্র নিতে চায়। কিন্তু পরিচয়পত্র না রোল নম্বর তাদের জানাই। এ সময় একজন সহকারী প্রক্টর ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়ে চলে যান। তারা ‘ধমকের’ সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই বলে ‘হেনস্তা’ করে। পরে আমরা চলে যাই।’
ওই দিন টহলে ছিলেন সহকারী প্রক্টর পুরনজিৎ মহলদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাহনেওয়াজ পারভেজ ও হাকিমুল হক। এ বিষয়ে হাকিমুল হক বলেন, ‘তাদের কাছে যখন যাই তখন রাত পৌনে ১১টা বাজে। দুইজন মেয়েসহ কয়েকজন ছেলে গান গাইছিল। একজন সহকারী প্রক্টর তাদের হলে ফিরতে বলেন। তখন মেয়েটি বলেন ‘আমার একটা লাইফ আছে। স্বাধীনতা আছে। আমার লাইফ আমি ইনজয় করব।’
এরপর পরিচয়পত্র চাওয়া হলে না দিয়ে রোল নম্বর দেন। এক ছেলেও বেয়াদবি করে।’ মেয়েটির উত্তর ছিল ‘নেগেটিভ’ ও ‘ভয়ঙ্কর’ ছিল বলেও জানান তিনি।