জিয়ার হাতেই অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের সূচনা : জয়

 বক্তব্য রাখছেন আল নাহিয়ান খান জয়
বক্তব্য রাখছেন আল নাহিয়ান খান জয়   © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাতেই পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের সূচনা করেছেন। পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ১ হাজার সদস্যকে হত্যা ও গুম করার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করে। এরই মাধ্যমে অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের সূচনা করেন।’

সোমবার (২৯ আগস্ট) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ক্ষমতায় থাকতে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট নিয়ে বিএনপি গঠন করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত করে জিয়া। জিয়াই প্রথম বই খাতার পরিবর্তে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রমোদভ্রমণসহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে। ছাত্রদেরকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত করার মূল হোতাও এই জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও একই পথে হেঁটেছেন।’

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাউকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখালে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে আর্থিক ও পরামর্শ দিয়ে যারা ভূমিকা পালন করে। তারা আজকে মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছে। তারা দেখতে আসে মানবাধিকারের বাস্তবায়ন ঠিকঠাক হয় কি না। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সময় আপনারা কোথায় ছিলেন?’

আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষার্থী : উপাচার্য

তিনি আরও বলেন, ‘পিতার লাশ দেখতে কন্যা দেশে আসতে পারে নাই। বিচারের বাইরে ২১ বছর ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। কমিশন তখন কোথায় ছিলেন? আবারো যদি ২০১৩ সালের মত ষড়যন্ত্রকারীদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করেন তবে বাঙালিরা দেখবে।’

এ সময় জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  


সর্বশেষ সংবাদ