রাবিতে ৩৫ টাকার তরকারি ৫৫ টাকায় বিক্রি, তবুও বাড়েনি খাবারের মান

রাবি অভ্যন্তরে হোটেল
রাবি অভ্যন্তরে হোটেল  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অভ্যন্তরের থাকা হোটেল মালিকরা দ্রব্যমূল্য বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে চড়া মূল্যে খাবার বিক্রি করছেন। তবে বাড়েনি খাবারের গুণগত মান। এ নিয়ে প্রশাসন থেকে কোনোরকম কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ডাইনিং ও ক্যান্টিনে দাম না বাড়লেও কমেছে খাবারের পরিমাণ। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ঈদের পর থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে বাবুর হোটেলে সব কিছুই চড়া দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতা। তার দোকানের পাশেই স্টেশন বাজারে ভাতের প্লেট ১০ টাকা বিক্রি করা হলেও তিনি বিক্রি করছেন ১৫ টাকা প্লেট। হাফ প্লেট ভাতের দাম আগের মতো ৫ টাকা করে রাখা হলেও তার পরিমাণ কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এক পিস মাছের দাম আগে যেখানে রাখা হতো ৩৫-৪০ টাকা, এখন ৫৫-৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। মুরগির ক্ষেত্রেও ১০-১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তেলের দামসহ কিছু দ্রবের দাম বেড়েছে কিন্তু শাকসবজি ও চালের দাম আগের মতোই আছে। দোকানিরা খাবারে দাম বাড়ালেও গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ায়নি। এতে করে বিভিন্ন সময়ে দাম ও মান নিয়ে দোকানিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে দাম না বাড়ালেও খাবারের গুণগত মান ও পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা পেট ভরে খাবার খেতে পারছে না।

গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম ধ্রুব বলেন, প্রশাসন যদি নিয়মিত দোকানগুলো মনিটরিং করতো তাহলে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই রেহাই পেতো। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য একবেলায় খাবারে ৫০-৬০ টাকা খরচ পড়ে যায়। যা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের বাবু হোটেলের মালিক মো. বাবু মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দাম বেশি বাড়ায়নি। ভাতের দাম ১৫ টাকা করে বিক্রি করছিলাম। তবে এখন থেকে আবার ১০ টাকা করে বিক্রি করবো। জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাছ মুরগির দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে।’

টুকিটাকি চত্বরের মনির নামের হোটেল মালিক বলেন, ‘দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে আমাদের লোকসান হলেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে হয়। লোকসান করেও আমরা ব্যবসা করছি। তবে দাম বাড়ালেও আগের মতো আমাদের ব্যবসা হচ্ছে না। আগে শিক্ষার্থীরা বেশি খরচ করতো। এখন দাম বাড়ার ফলে তারাও খরচ কমিয়ে দিয়েছে। আমাদের খাবারের মান ভালো তবুও আমরা আগের মতো ব্যবসা করতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, ‘আমি এরইমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। ঈদের আগে খাবারের দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা করে দেওয়া হয়েছে তা অনেকেই মানছে না। প্রক্টোরিয়াল টিমকে নিয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। আলোচনা শেষে আমরা দোকানগুলোতে অভিযান চালাবো এবং তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence