ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার

‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যায়নি, হত্যা করা হয়েছে’

মাহবুব আদর ও ঢাবি লোগো
মাহবুব আদর ও ঢাবি লোগো  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাহাবুব আদরের মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক বলে দাবি করেছে তার পরিবার ও সহপাঠীরা। আদরের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।

গত বুধবার ট্রেন থেকে পড়ে নিহত হন আদর। যদিও এটিকে দুর্ঘটনা মানতে নারাজ পরিবার ও সহপাঠীরা। তারা বলছেন, আদরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ট্রেনের ছাদে অজ্ঞাত এক যুবককে দেখা গেছে আদরের সাথে। পরিবারের সন্দেহ ওই ব্যক্তিই তাকে হত্যা করেছে।

বুধবার আদরের মৃত্যু হলেও তার পরিবার খবর পায় বৃহস্পতিবার সকালে। ওইদিনই তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার বাদ আছর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর এলাকার সাখিদার পাড়া মহল্লায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন: মাথা-মুখ-হাঁটুতে ক্ষত ছিল আদরের, আইডি কার্ডে জানা যায় পরিচয়

আদরের মা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যায়নি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে যখন ট্রেনের ছাদে ছিল তখন ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিল। ওই ছবিতে আমার ছেলের পেছনে একজনকে দেখা গেছে। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওকে খুঁজে পাওয়া গেলেই আমার ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে আদরের সাথে আমার শেষ কথা হয়। তখন সে বলেছিল মা আমি কুষ্টিয়া যাচ্ছি। কার সাথে যাচ্ছ জিজ্ঞেস করলে সে জানায় অপরিচিত ব্যক্তির সাথে। এরপর রাত ১২টায় কল দিলে সে আর আমার ফোন ধরেনি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাই আদর আর নেই।

আরও পড়ুন: ‘কঠিন তবুও আনন্দঘন...’

আদরের সহপাঠীরা জানান, সে খুবই সহজ-সরল ছেলে ছিল। সম্প্রতি সে শরীয়তপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথেই কুষ্টিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিল। তবে কুষ্টিয়া সে একাই গিয়েছিল। ট্রেনে যাওয়ার সময় সে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিল। ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘অফ টু কুষ্টিয়া। কঠিন তবুও আনন্দঘন, মাঝপথে জুটেছিল, অপরিচিত সঙ্গী।’


সর্বশেষ সংবাদ