কচ্ছপ গতিতে চলছে রাবির ওয়াইফাই সেবা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

ধীরগতি আর নিম্নমানের সংযোগে কচ্ছপ গতিকেও হার মানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই সেবা। একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোতে পর্যাপ্ত সংযোগ থাকলেও তা ধীরগতি সম্পন্ন হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিবছর নেট বাবদ ফি প্রদান করেও চাহিদামতো সেবা পাচ্ছে না। বারবার এমন সমস্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: মাসে লাখ টাকার মাদক লাগে রাবি শিক্ষকের ছেলের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম রানা বলেন, হলের প্রতিটি কক্ষে রাউটার লাগানো হলেও ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েই গেছে। কিছুদিন পর পর ওয়াইফাই থাকছে না, যখন থাকছে তখন বাফারিং করে। এত সমস্যা নিয়ে ওয়াইফাই ব্যবহার করার মত বিড়ম্বনা আর নেই।

আরও পড়ুন: ওমিক্রন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ

এ সমস্যা হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে হবিবুর হলের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আহমেদ বলেন, কিছুদিন পর পর হলে ওয়াইফাই সমস্যা দেখা দেয়। ইন্টারনেট বাফারিং এবং কম গতিসম্পন্ন হওয়ায় বিপত্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এতে আমাদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে আসছে বাধা, যা একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে। এত সমৃদ্ধ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাই এর বেহাল অবস্থা খুবই হতাশাজনক বলে জানান তিনি।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী গালিব হাসান বলেন, হলে ওয়াইফাই সমস্যা দীর্ঘদিনের। শুধু হলেই যে এই সমস্যা এমনটা নয়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্যাটি একরকম ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: জনগনকে দেয়া সকল ওয়াদা বাস্তবায়ন করেছি: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, একাডেমিকসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে হয়। ইন্টারনেট ক্রয় করে ব্রাউজিং করা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল। আমরা প্রতি বছর ওয়াইফাই বাবদ ফি প্রদান করার পরও ইন্টারনেট ক্রয় করে ব্যবহার করতে হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান এই শিক্ষার্থী।

তাপসী রাবেয়া হলের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান নিতু বলেন, হলের মধ্যে ওয়াই-ফাই খুবই ধীরগতিতে চলে। প্রায় সময় কানেকশন থাকে না। ফলে পড়াশোনা বিষয়ক কোন প্রয়োজনীয় কাজ করতে চাইলে ঠিকমত সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ইন্টারনেট নির্ভর এই সময়ে এবিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে তা সমাধান করা উচিত বলে জানান এ শিক্ষার্থী।

এছাড়াও আবাসিক হলগুলোতে অবস্থানরত প্রায় সকল শিক্ষার্থীর অভিযোগ, কচ্ছপ গতির চেয়েও খারাপ হলের ওয়াই-ফাই সেবা। ফলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চান তারা।

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে এইচএসসির ফল

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নেট কানেকশনের বিষয়ে অবগত। আমরা আইসিটি সেন্টারের সাথে এবিষয়ে কথা বলেছি। তারা সমস্যাটি সমাধানে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, আমরা একাডেমিক ভবনসহ আবাসিক হলগুলোতে ওয়াই-ফাই সেবার যথেষ্ট সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি।তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক সময় গতি কমে যায়। তবে আমরা আবাসিক হলগুলোতে ওয়াই-ফাই সংযোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লেন সংযোগ দিয়ে আলাদা ব্রাউজিং কক্ষ করার পরামর্শ দিয়েছি। যাতে একটি কক্ষে একসাথে ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী বসে তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন বলে জানান তিনি।