রাবিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ম-শৃংঙ্খলা বিষয়ক নোটিশ প্রত্যাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

প্রতিবাদের মুখে শিক্ষার্থীদের দেয়া নিয়ম-শৃঙ্খলা বিষয়ক নোটিশ প্রত্যাহার করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ অভিহিত করা, র‌্যাগিংয়ের মতো অন্যন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারোধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধি-নিষেধগুলো প্রচার করা হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রচারিত বিধিনিষেধের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রশাসনের নজরে এসেছে। কিছু বিধিনিষেধ বিদ্যামান থাকলেও বাস্তবতার কারণে তার কার্যকরিতা ও প্রয়োগ নেই। ফলে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য প্রচারিত বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত পত্রটি প্রত্যাহার করা হলো।

আরও পড়ুন: রাতে রোল কল হবে রাবি শিক্ষার্থীদের!

এরআগে, গত ১৯ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের নিয়ম-শৃঙ্খলা বিষয়ক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭টি নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত আইনগুলোর মধ্যে ছিল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও বিভাগীয় সমিতি ছাড়া কোনও ক্লাব বা সমিতি বা ছাত্র সংগঠন গঠন করতে পারবে না। এ ছাড়া প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনও মিটিং, পার্টি বা আপ্যায়ন অথবা বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক এবং অফিসারের প্রক্টরিয়াল ক্ষমতা থাকবে, রাতের খাবারের পর পর ছাত্রদের রোল কল করতে হবে, রোল কলের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের রুমে থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি

এছাড়া নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাত সাড়ে ৯টা এবং অন্যান্য সময় সাড়ে ১০টায় হলের গেট বন্ধ করতে হবে এবং সকাল ৫টার আগে খোলা যাবে না। আবাসিক ছাত্রীদের সান্ধ্য আইনের আওতায় শীতকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৬টা এবং গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত হলে অবস্থান করতে হবে। 

আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ে ছাত্র সংগঠনে জড়াতে নিষেধাজ্ঞা!

তবে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো এটাকে দুরভিসন্ধিমূলক অ্যাখ্যা দেন। এবিষয়ে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেছেন, আমরা বেশকিছু দিন ধরে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুরনো আইনগুলো নোটিশ আকারে প্রকাশের মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে না পারে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত এই নোটিশ প্রচারের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ সোসাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়। তবে শুধুমাত্র নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কে অবিহিত করতেই এই পুরোনো নোটিশ প্রচার করা হয়েছে বলে জানিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence