হত্যার কথা স্বীকার করছেন না মেঘলার স্বামী

স্বামীর সঙ্গে মেঘলা
স্বামীর সঙ্গে মেঘলা  © ফাইল ফটো

কথা কাটাকাটির জের ধরে স্ত্রীকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদীন। তবে তার হত্যায় জড়িত থাকার কথা কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছেন না তিনি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ইফতেখারকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার আদ্যোপান্ত এবং কোন পর্যায়ের নির্যাতনে মেঘলার মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে তাদের ধারণা, নির্যাতনের কারণেই মেঘলার মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার কথা ইফতেখার স্বীকার না করলেও তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হবে বলে জানান তারা।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। ইফতেখারকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অতি দ্রুত আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ইফতেখারকে আগে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রথমে তিনি নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছিলেন। তবে পরে জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন। ইফতেখারের দাবি, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হওয়ার একপর্যায়ে মেঘলাকে মারধর করেন তিনি। তার দাবি, স্ত্রী মরে যেতে পারে এমন নির্যাতন করেননি তিনি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ইফতেখার চতুর প্রকৃতির। সামান্য মারধর করার কথা জানালেও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করছেন না। আদালতেও তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চান না। পুলিশ ইফতেখারের বাবা-মাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তবে মেঘলার পরিবার, স্বজন ও সহপাঠীদের দাবি, ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইফতেখারের বাবা-মাকে গ্রেফতার না করতে পারাটা অস্বাভাবিক বিষয়। তারা দ্রুত ইফতেখারের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি আনার দাবি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ