শিক্ষকের গবেষণায় চুরির প্রমাণ মিলেছে, শাস্তি নিরূপণে ট্রাইবুনাল

অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর
অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এই শিক্ষকের শাস্তি বিধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাইবুনাল গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।

সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুলের এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ আর সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

এর আগে, সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুল কবীরের ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক গবেষণার সঙ্গে ২০১২ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর ৯৮% শতাংশ মিল খুঁজে পাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে শাস্তি নিরুপণের জন্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল যাচাই-বাচাই করে শাস্তি নির্ধারণ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence