রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মর্টার শেল-বোমা-রকেট লঞ্চার: উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক যুদ্ধ সামগ্রী

আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করা হয়
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করা হয়  © টিডিসি ফটো

মুক্তিযুদ্ধের অর্ধ্বশত বছর পরে হঠাৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া যাচ্ছে যুদ্ধকালীন পাক-হানাদার বাহিনী মর্টার শেল, বোমা এবং রকেট লঞ্চার। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধভূমি এলাকায় পুকুরের মাটি উত্তোলনের সময় চারটি বোমা পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধভূমি সংলগ্ন কৃষি প্রকল্পের পুকুরের মাটি উত্তোলনের সময় মাটির সাথে এগুলো উঠে আসে এবং পরে সেই মাটিগুলো সমান করতে গেলে বোমা গুলো জনসম্মুখে আসে। পরে সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশদের জানালে তাদের দায়িত্বে সেগুলো রাখা হয়।

এর আগে, গত এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের পূর্ব দিকে খননকৃত নতুন পুকুরে পর পর মর্টার শেল ও রকেট লঞ্চার পাওয়া যায়। পরে সেগুলোকে বিষ্ফোরণের মাধ্যম ধ্বংস করেন সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয় টিম।

দেখুন: রাবিতে আরও ২ মর্টার শেল ও একটি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের উল্লেখ্যযোগ্য এক স্থান। এখানে পাক হানাদারদের ক্যাম্প ছিল। এমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বোহা হলকে হানাদাররা চর্চার শেল হিসেবে ব্যবহার করত। তারা আশপাশের নারী পুরুষদের তুলে এনে সেখানে নির্যাতন করত এবং তাদের হত্যা করে বদ্ধভূমি এলাকার গণকবরে পুঁতে রাখত।

এছাড়া পাক হানাদাররা সেখানে বিভিন্ন মারণাস্ত্র এনে সংরক্ষণ করত। আর জ্বোহা হলের পাশেই যেহেতু এইপুকুর গুলো সেহেতু সেখানে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তারা ফেলে যেতে পারে বলে জানান অধ্যাপক লুৎফর রহমান। অনুসন্ধান করলে আরো বোমা পাওয়া যেতে পারে এমন ধারণা করে সেনা টিমকে সে সময় ক্যাম্পাসের সম্ভব্য জায়গাগুলো জরিপ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বদ্ধভূমি এলাকা থেকে অনেক মারণাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রশালার সংরক্ষিত আছে।


সর্বশেষ সংবাদ