স্বজনের অভিযোগ নেই, অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে

অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান ও জাবি লোগো
অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান ও জাবি লোগো  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছে পুলিশ। 

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তার মৃত্যুর বিষয়ে আত্মীয়স্বজনের কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশও তেমন কিছু পায়নি। এ কারণে অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। তবে তদন্ত বা ময়নাতদন্তে অন্য কিছু বেরিয়ে এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। 

অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমানের ছোট ভাই খালেদ শহিদুর রহমান মিঠু জানান, তার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তিনি স্ট্রোক করে থাকতে পারেন। এ ব্যাপারে পুলিশের তদন্তেই আস্থা রাখছে পরিবার।

তুরাগ থানার এসআই আলী আজম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে শনিবার সকালের মধ্যে কোনো এক সময় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও সম্ভাব্য সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা পরে জানাবেন। পাশাপাশি পুলিশও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।

স্বজনরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল তার লাশ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ সোমবার সকাল ১০টায় তার জানাজা হবে। এরপর স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে রাজউকের আবাসন প্রকল্পের দোলনচাঁপা ভবনের ১৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে একা থাকতেন অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে গৃহকর্মী গিয়ে অনেক ডেকেও তার সাড়া পাননি। একপর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ দরজার তালা ও ছিটকিনি ভেঙে ঢুকে মেঝেতে তার মৃতদেহ দেখতে পায়। তার স্ত্রী ও কন্যা যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।


সর্বশেষ সংবাদ