জাবিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন

মৌন মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা
মৌন মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

দেশব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া ধর্ষণের প্রতিবাদে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়প্রকার ধর্ষণকে ধর্ষণ হিসেবে স্বীকার করা, সরকারি আমলা, কর্মকর্তা দ্বারা যদি ধর্ষণ হয় তাহলে তাকে বহিষ্কার করা এবং তার পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত সকল সরকারি সুবিধা বাতিল করাসহ ধর্ষণের মামলার বিচারিক কার্যক্রম ৩০ দিনের মধ্যে শুরু করা সহ মোট পাঁচ দফা দাবি জানান তারা।

বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে একটি মৌন মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটোয়ারী বলেন, বিবেকের তাড়নায় আমি আজ এ প্রতিবাদ সমাবেশে আসতে বাধ্য হয়েছি। কারণ আমার ঘরেও নারী সদস্য রয়েছে। আজ এ ধর্ষণের প্রতিবাদ না করলে এ নরপিশাচগুলো একেকটি বাড়িকে লক্ষ্য করবে। তখন আর বিচার চেয়ে কোনো লাভ হবে না। রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, অন্যথায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, গ্রামগুলোতে টাকা না দিলে আজকাল বিচার পাওয়া যায় না। দরিদ্র মানুষগুলো আজ টাকা না দিতে পেরে ধর্ষণের মত ঘৃণিত এ ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ ধর্ষণ ও বিচারহীনতার রাজনীতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত রূপ লাভ করছে। আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে চাই।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশ ঘুরে ক্যাফেটেরিয়া চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।


সর্বশেষ সংবাদ