ঢাবির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: সাদিক কায়েম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ AM , আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৩ PM
আমরা আর কোন অক্টোবর ট্র্যাজেডি চাই না, এখনই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টায় অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষে ১৯৮৫ সালের ৪০ জন শিক্ষার্থী ও স্টাফের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনের মূল্য দিতে হবে। চল্লিশটি জীবনের মূল্য যদি আমরা এখনো দিতে না পারি তাহলে, এর চেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলরা এখানে আছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমাদের যে সমস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, এখনি সময় এই ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একই সাথে আমাদের যে ৮’শ কোটি টাকার বাজেট, দ্রুত গতিতে সেটি বাস্তবায়ন করা, সেটির কাজ শুরু করা।’
শোক সভায় তিনি বলেন, ‘কোনো দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে, এর চেয়ে কষ্টের সংবাদ পৃথিবীতে কিছু হতে পারেনা। মুহূর্তের মধ্যে সকল সম্পর্ক ভঙ্গ হয়ে যায়, পরিবারগুলো এতিম হয়ে যায়। সেই ধরনের একটি ঘটনা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। সেদিন ১৫ অক্টোবর আমরা হাড়িয়েছিলাম আমাদের ২৬ জন সহপাঠী, ১৪ জন স্টাফ ও অতিথিদের। আমরা সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের জন্য শান্তি কামনা করছি। সৃষ্টিকর্তা তাদের সবাইকে কবুল করে নিক।
আরও পড়ুন: ব্লকেড কর্মসূচি, শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষকরা
তিনি বলেন, ‘আমরা এর কোনো অক্টোবর ট্র্যাজেডি চাইনা। আজকের যেই শোক সভা, এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এটাকে যদি আমরা শুধু শোকসভা করেই ফরমালভাবে শেষ করে দিতে চাই তাহলে, এর থেকে আমাদের কোনো শিক্ষা থাকবেনা। আজকে আমরা যদি দেখি, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, রেজিস্টার বিল্ডিং থেকে শুরু করে অসংখ্য বিল্ডিং রয়েছে যেগুলো এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনের মূল্য দিতে হবে। চল্লিশটি জীবনের মূল্য যদি আমরা এখনও দিতে না পারি তাহলে, আমাদের এর চেয়ে বড় ঘটনা হতে পারে। সেখানে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলরা এখানে আছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যে সমস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে আমাদের এখনি সময় এই ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং একই সাথে আমাদের যে ৮ শ কোটি টাকার যে বাজেট দ্রুত গতিতে সেটি বাস্তবায়ন করা, সেটির কাজ শুরু করা।’
২০২৪ এর শহিদদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ভিপি সাদিক বলেন, ‘শহীদরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অংশ। যে সমস্ত আহতরা আছেন তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া এবং তাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া, সেটিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। ডাকসুর পক্ষ থেকে আমরাও আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে পরিবারের খোঁজ খবর নেব। আশা রাখব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও আন্তরিকতার সাথে আমাদের এই পরিবারগুলোর সামগ্রিক খোঁজ খবর নেবে।’