জাকসু নির্বাচন : বিদ্যুৎ না থাকায় এক হলে অন্ধকারেই চলছে ভোটগ্রহণ

অন্ধকারেই চলে ভোটগ্রহণ
অন্ধকারেই চলে ভোটগ্রহণ  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ১০ নম্বর হলে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ শুরুর পর সাড়ে ১০টা দিকে বৈদুতিক গোলোযোগ দেখা যায়। ফলে অন্ধকারেই চলে ভোটগ্রহণ।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে একযোগে ভোটগ্রহণ ৯টায় শুরুর কথা থাকলেও ১০ নম্বর হলের ভোটগ্রহণ শুরু হয় পৌনে এক ঘণ্টা দেরিতে। ব্যালট আসতে দেরি হওয়া ভোট শুরু করতে দেরি হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত কর্মকর্তারা।

ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ চলে গেছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে যে কয়জন ভোটার ভেতরে প্রশেব করেছে শুধু তাদের ভোট নেওয়া হচ্ছে। বাকিদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আশাকরি দ্রুতই বিদ্যুৎ চলে আসবে।

এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

ছাত্রদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।

ছাত্রীদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।


সর্বশেষ সংবাদ