ঢাবি ছাত্রদলের ৫৯৩ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার চান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:৫৩ AM , আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৪ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘নো হল পলিটিক্সে’র দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে রাত ১টার পর ভিসি বাসভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন তারা।
এদিকে, রাত ২টার পর ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বিক্ষোভস্থলে এসে জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত ছিল তা বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে স্ব স্ব হল প্রশাসন চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে। এসময় ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানান শিক্ষার্থীদের।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সময় তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। তদের দাবি কমিটিতে পদ পাওয়া সবাইকে হল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। শুধু তাই নয়, শিবিরের হল কমিটি থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া যারা গুপ্ত রাজনীতি করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০২৪ সালের ১৭ জুলাইয়ের ঘোষণা অনুযায়ী তারা এই দাবি জানান।
রাত তিনটার দিকে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হলে সব ধরনের প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। পরে ছাত্ররা তার দাবি মেনে নিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এরই সূত্র ধরে প্রক্টর জানান, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাইয়ের ঘোষণা অনুযায়ী হল পর্যায়ে সকল প্রকার প্রকাশ্য এবং গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ডাকসুর প্রচারণা করার ক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনগুলো কীভাবে কাজ করবে সেটি নিয়ে তারা আলোচনা করবে।
জানা যায়, ছাত্রদলের ১৮টি আবাসিক হলে মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সর্বোচ্চ ৬১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৫১ জন, কবি জসীমউদ্দীন হলে ৪৩ জন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ৪৭ জন, বিজয় একাত্তর ও শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫৪ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৫৬ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ১৮ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ৩৮ জন, জগন্নাথ হলে ৩৪ জন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৪৮ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৩৬ জন, অমর একুশে হলে ২৫ জন, রোকেয়া হলে ৮ জন, শামসুন্নাহার হলে ৫ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৪ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩ জন এবং কবি সুফিয়া কামাল হলে ৭ জন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।